জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফল প্রস্তুত, প্রকাশের সময় জানালেন উপাচার্য..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল ২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে যেকোনো দিনে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। আট বছর পর পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে মেধাতালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।..

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল চলতি সপ্তাহের যেকোনো এক দিনে প্রকাশিত হবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। শনিবার (২১ জুন) রাতে ধানমন্ডির বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার পর তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এই তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, গত ৩১ মে দেশের ৬৪ জেলা শহরে মোট ৮৭৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। আমাদের রেজাল্ট প্রস্তুত রয়েছে, এখন শুধু চেকিং চলছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যে, অর্থাৎ ২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। তবে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি বাতিল করে, এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে কলেজগুলোতে ভর্তি শুরু হয়। আট বছর পর ফের পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।

এবারের ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের সময় ছিল এক ঘণ্টা। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেয়া হবে, ভুল উত্তরে কোনো নম্বর কর্তন হবে না।

ভর্তি মেধাতালিকা তৈরি করা হবে এমসিকিউ অংশের নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএয়ের নির্দিষ্ট অংশের যোগফলের ভিত্তিতে। এসএসসির চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএয়ের ৪০ শতাংশ এবং এইচএসসির জিপিএয়ের ৬০ শতাংশ মিলিয়ে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে তালিকা গঠন করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। সরকারি কলেজের সংখ্যা ২৬৪ এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে মোট চার লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি আসন ছিল। এছাড়াও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি (পাস কোর্স) পর্যায়ে প্রথমার্ধে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি আসন ছিল, যা দেশের ১৯৬৯টি কলেজে বিভক্ত।

ভর্তির সময় সর্বোচ্চ আটটি আসন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য তিনটি, আদিবাসীদের জন্য একটি, প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি এবং পোষ্য কোটা তিনটি আসন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভর্তি পরীক্ষা এবং ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষায় নতুন গতি আসার আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা যথাযথ ও সুবিচারভিত্তিক ভর্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Nessun commento trovato