পাবনা-৪ নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর প্রচারণায় দফায় দফায় হামলা ও গুলিবর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে এই স্পর্শকাতর ঘটনার পরপরই বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব সম্পূর্ণ দায় অস্বীকার করে উল্টো জামায়াত কর্মীদের বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ এনেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি অডিও বার্তায় হাবিবুর রহমান হাবিব দাবি করেন, জামায়াত কর্মীরাই প্রথমে তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, "তারা ওখানে গিয়েছে। তারা গিয়ে আমাদের লোকদেরকে মারধর শুরু করেছে... পরে ওই এলাকার সব লোক আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে।" এই 'ধাওয়া' করার ঘটনাটিকেই তিনি 'জনরোষের শিকার' হওয়া বলে উল্লেখ করেন।
বিএনপি নেতা হাবিবের ভাষ্য অনুযায়ী, তার নেতাকর্মীরা ওই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না এবং হামলার বিষয়ে তিনি নিজেও অবগত ছিলেন না। তার বক্তব্য, "এখানে আমি জানিও না। আমার কোনো দায় নাই। টোটালি মিথ্যা কথা।" তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, গাড়িতে কারা গুলি চালিয়েছে, সেই ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে দায়ী করা হচ্ছে। তার দাবি, "আমি তো যাইও নাই। জানিও না। তাহলে এখানে আমাকে দায়ী করাটা কোনো কারণ নেই।"
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের অভিযোগ, বিএনপি নেতার অনুসারীরা সুপরিকল্পিতভাবে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা দিতে এই হামলা চালিয়েছে। দুই জোটসঙ্গীর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এই তীব্র সংঘাত স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।



















