close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প সত্যিই আগ্রহী, পুতিন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পুতিন বললেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প আন্তরিক। রাশিয়া আলোচনায় প্রস্তুত, পশ্চিমা সামরিক খরচের বিপরীতে শান্তির বার্তা দিলেন মস্কো।..

ইউক্রেন যুদ্ধের এক দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ে যখন বিশ্ব শান্তি খুঁজছে, তখন একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে প্রকৃতপক্ষেই আন্তরিক এবং তিনি এই সংকট নিরসনে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

গত শুক্রবার (২৭ জুন) বেলারুশের রাজধানী মিনস্ক সফরের সময় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এসব কথা বলেন। শুধু যুদ্ধই নয়, সামগ্রিক সামরিক ব্যয় ও পশ্চিমা জোট ন্যাটোর ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

পুতিন বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ট্রাম্প এই যুদ্ধ বন্ধে সত্যিকার প্রচেষ্টা নিচ্ছেন। তিনি একজন আন্তরিক ব্যক্তি।” এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে, বিশেষত এমন সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে ট্রাম্প আবারও সক্রিয় হচ্ছেন।

পুতিন জানান, রাশিয়া ভবিষ্যতে সামরিক ব্যয় ধাপে ধাপে কমানোর পরিকল্পনা করছে। তার ভাষায়, “পশ্চিম যখন প্রতিনিয়ত নিজেদের সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে, তখন আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে হাঁটছি।” তিনি বলেন, ন্যাটোর বাজেট বৃদ্ধি আসলে ভুয়া রাশিয়ান আগ্রাসনের ধারণার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসতে প্রস্তুত এবং এই লক্ষ্যে আগের দুটি স্মারকলিপির (মেমোরেন্ডাম) ভিত্তিতে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রেখেছে। তিনি বলেন, “আমরা কিয়েভের সঙ্গে মতপার্থক্য দূর করতে চাই, সংঘাত নয়— সমঝোতা চাই।”

পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সম্প্রতি যে বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে, তার পর থেকেই কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জোরালো হচ্ছিল, তবে তা কূটনৈতিক চাপ ও অস্ত্র সরবরাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পুতিনের বক্তব্যে এবার শান্তি আলোচনার দ্বার যেন একটু উন্মুক্ত হলো।

বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের এই বক্তব্য ট্রাম্পকে একটি বৈশ্বিক ‘শান্তির বার্তাবাহক’ হিসেবে তুলে ধরতে পারে, বিশেষত যখন তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ তার নির্বাচনী প্রচারণার বড় ইস্যু হয়ে উঠতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এই মন্তব্য শুধু রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নয়, গোটা ইউরোপ ও বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন মোড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ কি তবে শেষের পথে? ট্রাম্প কি সত্যিই যুদ্ধ থামাতে পারবেন? সেই উত্তরের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator