close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহর থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত শান্তি ফিরতে চলেছে। হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের কয়েক ঘণ্টা আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হবে। এর আগে থেকেই রাফাহ শহর থেকে ইসরাইলি সেনারা সামরিক যানবাহনসহ ফিরে যেতে শুরু করেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পটভূমি
গত ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল এবং হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। এই চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ইসরাইলি সেনারা মিশরের সঙ্গে গাজার দক্ষিণ সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডোরের দিকে ফিরে যাচ্ছে। গাজার আলজাজিরা আরবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, রাফাহ শহরের কেন্দ্র থেকে সেনাদের প্রত্যাহারের এই প্রক্রিয়া শান্তির নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালে সংঘর্ষ
যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালেও সংঘর্ষ এড়ানো যায়নি। ইসরাইলি বাহিনীর এক হামলায় গাজার খান ইউনিস শহরে এক পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এটি যুদ্ধবিরতির আগে একটি তিক্ত মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
নেতানিয়াহুর সতর্ক বার্তা
যুদ্ধবিরতির কিছু সময় আগে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার জাতীয় ভাষণে বলেন, “যুদ্ধবিরতি স্বল্পস্থায়ী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনে প্রয়োজনে গাজায় পুনরায় আক্রমণ চালানোর জন্য ইসরাইল প্রস্তুত।” এই বক্তব্য যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।
একটি নতুন আশা?
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা গাজাবাসীর জন্য একটি আশার আলো, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্য ভবিষ্যতের অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্ববাসীর নজর এখন গাজার দিকে, যেখানে শান্তির শপথ ও সংঘর্ষের হুমকি একসঙ্গে বিরাজ করছে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি