close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
মসনদ বুঝে নেওয়ার আগেই ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি এবং হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি বন্দী মুক্তির শর্ত পূরণ না হয়, তবে হামাসকে কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জিও নিউজের বরাতে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছেন। সেখানে তিনি এই সংকট সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ইসরাইলি জনগণের নিরাপত্তার বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।
ফ্লোরিডায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প আরও বলেন, "আমি হামাসকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি—২০ জানুয়ারি আমার ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বন্দী মুক্তি না দিলে তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।"
এছাড়া, বিশ্বব্যাপী চলমান উত্তেজনা নিরসনে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেন, "এখন সময় এসেছে ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার। আমি রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে সরাসরি আলোচনা করব। যুদ্ধ বন্ধ করা এখন অতীব জরুরি।"
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, তার এই অবস্থান বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি হামাসের ওপর কড়া চাপ সৃষ্টি করবে।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য:
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি কেবল হামাসকেই নয়, বরং যুদ্ধকবলিত অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও ট্রাম্পের এই বক্তব্য কূটনৈতিক সম্পর্কগুলোর ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হামাস-ইসরাইল সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য ট্রাম্পের কৌশল কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার দৃঢ় অবস্থান যে বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
শেষ কথা:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বার্তা কি হামাসকে চাপের মুখে ফেলবে? ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি এখন আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
Không có bình luận nào được tìm thấy