close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েলের নিশানায় দামেস্ক! সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনায় একের পর এক বিমান হামলা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার রাতে দামেস্কের আকাশে বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যা পুরো শহরজুড়ে আতঙ্ক ছ
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার রাতে দামেস্কের আকাশে বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যা পুরো শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দামেস্কের আশপাশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। দামেস্ক থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সেরদার জানিয়েছেন, হামলার মূল টার্গেট ছিল সিরিয়ান আর্মির চতুর্থ ডিভিশন এবং একটি রাডার ব্যাটালিয়ন। তিনি আরও বলেন, "এই হামলা শুধু সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এর মাধ্যমে অঞ্চলজুড়ে ভয়াবহ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।" এর আগে শুক্রবারই সিরিয়ার দামেস্ক এবং সুইদার কাছে আরও অন্তত ছয়টি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। বাশার আল-আসাদের পতনের পর হামলার তাণ্ডব সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে অস্থিরতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণের মুখে মাত্র ১২ দিনের মধ্যে তার সরকার ভেঙে পড়ে। সেই থেকেই সিরিয়া পরিণত হয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও বাহিনীর সংঘর্ষের ময়দানে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ায় ৫০০-র বেশি হামলা চালিয়েছে। তবে এরপরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেমে নেই, বরং আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। মূল লক্ষ্য সামরিক স্থাপনা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, হোমস, তারতাস, পালমিরা, লাতাকিয়া এবং দেইর আজোর শহর। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল: যুদ্ধজাহাজ বিমানঘাঁটি সামরিক যান বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র অস্ত্র উৎপাদন কারখানা অস্ত্রাগার বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক শক্তি ধ্বংস করতে চায় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিজেদের দখলে রাখতে আগ্রহী। ইসরায়েলের এমন ধারাবাহিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে। এই হামলার ফলে সিরিয়ার সাধারণ মানুষও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তারা মনে করছে, এই যুদ্ধ তাদের জন্য অদূর ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয় ডেকে আনবে।
Nema komentara