ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে জনস্রোত, দাবি সংখ্যানুপাতিক ভোট ও জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন। মাঠে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের ঢল।....

রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তনের দাবিতে রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আজ শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকেই জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত বিশাল মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন সকাল ১০টায় কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়।

এ মহাসমাবেশে মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—দেশে সংখ্যানুপাতিক (Proportional Representation) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় ন্যায়ের নিশ্চয়তা। মূল অধিবেশন শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল দুপুর ২টা, তবে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর থেকে আসা ইসলামী আন্দোলনের হাজারো নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পূর্ণ হয়ে যায়।

এদিন প্রথম পর্বে বক্তব্য রাখেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, “এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। দেশের মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছে। আমরা চাই, ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পদ্ধতি চালু হোক।”

সভায় আরও জানানো হয়, মহাসমাবেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পক্ষে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও অংশ নেবেন। এতে এ আন্দোলনের পরিসর আরও বড় হবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

উল্লেখ্য, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জাতীয় সংসদে দলগুলোর প্রতিনিধি সংখ্যা জনগণের ভোটের অনুপাতে নির্ধারিত হয়। ইসলামী আন্দোলনের দাবির মধ্যে রয়েছে—এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করে রাজনৈতিক সুষমতা ও জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটানো।

এদিকে মাঠের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত চাঙা ও শান্তিপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নেতা-কর্মীরা দলীয় পতাকা, ব্যানার ও স্লোগানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে রূপ দিয়েছেন দাবির প্ল্যাটফর্মে।

রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশ জোরদার। মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে একটি জাতীয় আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক নির্বাচন ও রাজনৈতিক উত্তাপের প্রেক্ষাপটে এই দাবিগুলো দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

মহাসমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে দুপুর ২টার পর। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য দেবেন।

ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে—এই আন্দোলন ধীরে ধীরে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং সময়সুযোগে কঠোর কর্মসূচিও নেওয়া হতে পারে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে স্পষ্ট—এই সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক দাবির বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রত্যাশার বহিঃপ্রকাশ।

نظری یافت نشد