close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইসি বিএনপির কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে: এনসিপি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি— ইসি এখন যেন বিএনপির কার্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। নতুন ইসি গঠনের আগেই কোনো নির্বাচ..

ইসি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপির: “এটা এখন বিএনপির অফিসে রূপ নিয়েছে”

নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বিভিন্ন দল যেখানে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মাঠে সক্রিয়, সেখানে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও কার্যক্রম ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন উঠছে। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী একটি বোমা ফাটানো মন্তব্য করেছেন, যা দেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বুধবার, ২১ মে এক বিবৃতিতে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিএনপির কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এরা জনগণের পক্ষের কোনো কাজ করছে না বরং বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত রয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “নির্বাচনের আগেই যদি একটি দল কমিশনকে এমনভাবে পরিচালনা করতে পারে, তবে নির্বাচনের পরে তারা হাসিনার থেকেও বড় ফ্যাসিস্টে পরিণত হবে।”

এনসিপির এই নেতার কথায় স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটে চলমান রাজনৈতিক অবিশ্বাসের। শুধু সমালোচনায় থেমে যাননি তিনি। তার আরও দাবী, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচন করা যাবে না।

তিনি বলেন, “বর্তমান ইসি যদি থেকেই যায়, তাহলে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র কেবল কাগজে-কলমেই থাকবে। আমরা এই কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। ইসিকে নতুন করে গঠন করতেই হবে। সেই নতুন কমিশনের অধীনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন সহ সকল নির্বাচন হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা আজ নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে বিএনপির পক্ষ নিয়ে কাজ করছে, তাদের মুখোশ খুলে গেছে। মানুষ এখন জানে— কমিশনের চেয়ারে কারা বসে আছে, তারা কার হয়ে কাজ করছে।”

রাজনীতিতে নতুন সঙ্কেত?

নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীর বক্তব্য শুধু নির্বাচন কমিশনকে নিয়েই সীমাবদ্ধ নয়। তার বক্তব্যের ভেতরে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সঙ্কটের একটি পূর্বাভাসও রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে তিনি যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন— “বিএনপি নির্বাচনের পরে হাসিনার চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে”— তা রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক উস্কে দিতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য শুধু এনসিপির নয়, আরও কিছু দল ও জোটের মনে জমে থাকা সংশয় ও অসন্তোষের প্রতিফলন হতে পারে। রাজনৈতিকভাবে এই ধরনের ভাষ্য একদিকে যেমন উত্তেজনা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে নির্বাচনের আগে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর চাপও তৈরি করতে পারে।

ইসি পুনর্গঠনই একমাত্র পথ?

বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বড় অংশই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। এরমধ্যে এনসিপি তাদের অবস্থান আরও জোরালো করল। তবে প্রশ্ন থেকে যায়— এই দাবি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য? সরকার কি বিরোধী দল ও ছোট রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দাবিকে গুরুত্ব দেবে?

নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীর বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তারা ইসি পুনর্গঠন ছাড়া কোনো সমাধান মানতে রাজি নয়। তিনি বলেন, “এটা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমাদের দল মাঠে থাকবে। কমিশন বদল না হলে নির্বাচন প্রতিরোধ করা হবে।”

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে এনসিপি থেকে শুরু করে আরও অনেক দল ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তা ভবিষ্যতের নির্বাচন নিয়ে বড় ধরণের উদ্বেগ তৈরি করছে। বর্তমান ইসিকে ঘিরে এই অভিযোগ যদি অব্যাহত থাকে, তবে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

Tidak ada komentar yang ditemukan