close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইশরাকের নামের আগে ‘মাননীয় মেয়র’, নগরভবনে করছেন সভা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বীকৃত মেয়র হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন নগর ভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেছেন। ‘মাননীয় মেয়র’ খেতাবের অধীনে অনুষ্ঠিত এই সভায় পরিচ্ছন..

বাংলাদেশের রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এখন নতুন এক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির মনোনীত নেতা ইশরাক হোসেন গত রবিবার নিজেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার পর, আজ সোমবার নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আলোচনার বিষয়।

গভীর রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও ইশরাক হোসেন ‘মাননীয় মেয়র’ শিরোনামে নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও নাগরিক সেবা উন্নয়নের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এই সভায় নগর ভবনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতে নগরীর পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

 

ইশরাক হোসেন গতকাল রবিবার ঘোষণা দেন, সরকার যদি তাকে শপথ নেয়ার আয়োজন না করে, তবে নিজ উদ্যোগে সমর্থকদের সঙ্গে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। পাশাপাশি তিনি জনগণের দৈনন্দিন সেবা তাঁর তত্ত্বাবধানে চালু রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়া নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগানো থাকবে, যা স্পষ্ট সংকেত দেয় সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বকে।

আজকের সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইশরাক জানান, ডিএসসিসির জরুরি সেবা, বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সচল রাখাই প্রধান উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, “নগরবাসীর স্বার্থে পরিচ্ছন্নতা ও সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

 

সভা শুরু হওয়ার আগে এবং পরে ইশরাকের হাজার হাজার সমর্থক নগর ভবনের সামনে জমায়েত হন। তারা মেয়র পদে তার নিয়োগের দাবিতে অবস্থান নেন এবং সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কঠোর বার্তা প্রদান করেন। সকাল ১১টার পর নগর ভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক নিজেই এবং এক সামনের সারির নেতা হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ঘটনা বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় বিরাট এক সংকটের ইঙ্গিত বহন করছে। সরকার এবং বিরোধী দল যখন ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত, নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলছে।

 

আজ দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে ইশরাক সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নজর এখন সেই ঘোষণার দিকে কেন্দ্রীভূত।

নগর ভবনের কনফারেন্স রুম থেকে উঠে আসা এই সংবাদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবাদ নয়, বরং একটি বৃহৎ সামাজিক সংকটের প্রতিফলন যা নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে। আগামীদিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটির পরিচ্ছন্নতা ও নাগরিক সেবার ভবিষ্যত কতটা উন্নত বা বিপর্যস্ত হবে, তা এখন জাতীয় মনোযোগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator