close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ইস রা য়ে লের ১০ লক্ষ্যব স্তুতে সফল হা ম লা ই রা নের, আ হ ত ১৬

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মার্কিন হামলার জবাবে ইরানের ভয়াবহ পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠলো ইসরায়েলের ১০টি শহর, আহত ১৬, ধ্বংস ভবন। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে।....

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত উসকানিমূলক পদক্ষেপের জবাব দিতে আর দেরি করেনি ইরান। রোববার ভোরের আলো ফোটার আগেই তেহরানের রকেট ইউনিটগুলো সরাসরি আঘাত হানে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। একযোগে চালানো এই পাল্টা অভিযানে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষিত হয় অন্তত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে— যার মধ্যে রয়েছে তেলআবিব, হাইফা, কারমেল ও উত্তর ইসরায়েলের আরও কয়েকটি শহর।

তেহরানের এই অপারেশন মূলত যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায়— যেখানে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় (নাতাঞ্জ, ফরদো ও ইসফাহান) হামলা চালায়। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেমন নতুন উত্তেজনার সূচনা করেছে, তেমনি সরাসরি সামরিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিদ অ্যাডম’ নিশ্চিত করেছে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের তড়িঘড়ি করে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংস্থাটির উদ্ধারকর্মীরা দিনভর উদ্ধার ও ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তেলআবিবে কয়েকটি ভবন সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মাগেন ডেভিদ অ্যাডম। হামলার ফলে বিস্ফোরণের শব্দ এবং আগুনের কুন্ডলী শহরের আকাশ ছেয়ে ফেলে। বহু মানুষ আতঙ্কে শহর ছাড়তে শুরু করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই হামলা ছিল অত্যন্ত নির্ভুল ও পরিকল্পিত। হামলায় ব্যবহৃত হয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। আঘাত হানা প্রত্যেকটি লক্ষ্যবস্তু ছিল সামরিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

তেহরানের এক সেনা মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আমরা এমনভাবে হামলা করেছি যেন ক্ষয়ক্ষতির বার্তা স্পষ্ট হয়, কিন্তু সীমা অতিক্রম না করে। মূল উদ্দেশ্য ছিল শক্তির প্রদর্শন।

এই ঘটনার পরই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাৎক্ষণিক বৈঠকে বসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়াসহ একাধিক দেশ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের ‘টাইট ফর ট্যাট’ হামলা চলতে থাকলে যে কোনো মুহূর্তে পুরো অঞ্চলটিতে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে, যার প্রভাব সারা বিশ্বে পড়বে।

ইরান এখনো জানায়নি তাদের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম এখানেই শেষ, না কি আরও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইসরায়েলও তাদের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রেখেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশজুড়ে এখন শুধু যুদ্ধের ঘ্রাণ।
পরবর্তী হামলা কখন, কোথায়— তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম উৎকণ্ঠা

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন ইসরায়েল হয়ে সরাসরি যুদ্ধের রূপ নিচ্ছে। বিশ্ববাসীর চোখ এখন তেহরান-তেলআবিব-ওয়াশিংটনের দিকে।
এই সংঘর্ষ থামাতে না পারলে পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।

No comments found