close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরানের সঙ্গে কোনো আলাপ নেই, তাদের কিছু দিচ্ছিও না, ট্রাম্প..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ট্রাম্প স্পষ্ট জানালেন, ইরানের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা অর্থ সহায়তা নেই; পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের দাবি নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।..

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ সোমবার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার প্রশাসন ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা করছে না এবং তারা ইরানকে কোনো প্রস্তাব বা অর্থ সহায়তা দিচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, চলতি মাসের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের কিছু অংশের মধ্যে ইরানকে বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে ৩০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

ট্রাম্পের এই অবস্থান তার নিজস্ব নীতির সঙ্গে মিলে যায় না, কারণ ২০১৮ সালে তিনি ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। ওই চুক্তি তখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে করা হয়েছিল, যা ইরানকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দিয়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার শর্ত রাখে। ট্রাম্প সেই সময় বলেছিলেন, ওই চুক্তি ইরানকে ‘অর্থের লাইফলাইন’ দিয়েছিল।

ট্রাম্প পোস্টে উল্লেখ করেন, “ভুয়া ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস কুনসকে বলো, আমি ইরানকে কিছুই দিচ্ছি না। ওবামার মতো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ খুলে দেওয়া হয়নি। আমি ইরানের সঙ্গে কোনো আলাপ করছি না, কারণ আমরা তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছি।”

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর ক্রিস কুনস মন্তব্য করেছেন যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এমএসএনবিসি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুনস বলেন, “আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার পেশাদারদের কাজকে রাজনীতির হাতিয়ার বানানো উচিত নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সঙ্গে এই দাবি করা যে পুরো কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে গেছে, তা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “কোন স্থাপনা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা সম্পর্কে আরও নির্ভুল ও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন।”

এর আগে ২০১৫ সালে ইরান পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) সই করার সময়, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে সরে আসে এবং ইরানের ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

বর্তমানে ট্রাম্পের এই কঠোর অবস্থান ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কঠোর রুঢ় নীতি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে বিশ্ব রাজনীতির এই অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্কের ভবিষ্যত কী হবে তা আন্তর্জাতিক সমাজের নজরদারির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Nema komentara


News Card Generator