close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরানে আবারও তীব্র হামলার নির্দেশ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েলের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ তুলে তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের নির্দেশ দিয়েছেন। ইরান অভিযোগ অস্বীকার করেছে।..

গত কয়েকদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে তীব্র হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধবিরতির পরও ইরান তাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ স্পষ্ট করে বলেছেন, “যুদ্ধবিরতির পরও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সহ্য করা হবে না। আমরা প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেব।” এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি ইরানের ওপর কঠোর অবস্থান জানান দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইরান এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে এবং তারা কোনও আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ইসরায়েলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট করা হয়েছিল, ইরান থেকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যা ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আকাশে নিষ্ক্রিয় করেছে। ‘টাইমস অব ইসরায়েল’ জানায়, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ইসরায়েলের আকাশসীমায় ভূপাতিত হয়েছে।

ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচ ইরানের প্রতি কড়া ভাষায় বলেন, “তেহরান এখন কেঁপে উঠবে।” তার এই মন্তব্য ইসরায়েলের সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে একযোগে কঠোর পদক্ষেপের সংকেত বহন করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে এই উত্তেজনা বৃদ্ধির পেছনে বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত রয়েছে, যা একদিকে যেমন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জটিল করছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত যখন দুটি দেশের মধ্যকার সংঘাত আরও বড় আকার নিতে পারে এবং এতে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার আহ্বান জানিয়েছে যাতে উভয় পক্ষ সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায়। তবে এই হামলার নির্দেশ ও পাল্টা প্রত্যাখ্যান পরিস্থিতিকে আরো তীব্র করে তুলেছে।

এবারের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে, যা নির্ধারণ করবে এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক মানচিত্র। তাই বিশ্বজুড়ে কূটনীতিকরা ও বিশ্লেষকরা খুবই সংবেদনশীল হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

Không có bình luận nào được tìm thấy