close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
নিয়মিত শর্ট সার্কিট ঘিরে বিচ্ছিন্নভাবে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন পার করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান করাটাও বিপদজনক মনে করছেনে অনেকেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে ২ লাখ টাকার সংস্কারমূলক কাজ করা হলেও মেলেনি উপযুক্ত সুরাহা।
গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে ফলে অন্ধকার হয়ে পড়ে হলটি। এসময় আতঙ্কিত হয়ে জ্ঞান হারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২২-২৩ বর্ষের শিক্ষার্থী রুনা লায়লা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
এ বিষয়ে কর্মরত ডাক্তার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই হলে এমন শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে রুনা লায়লার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার তাকে হলে পাঠিয়েছি। এখানে ভয়ের কিছু নেই।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের হলে প্রায়দিনই শর্ট-সার্কিট হচ্ছে। এর আগে ঈদের ছুটির পর আগুন লাগলো তারপরেও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রতিদিন প্রশাসনের কাছে যাওয়া হচ্ছে তারপরেও তাদের কোনো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না। হলে এতগুলো মেয়ে থাকে যদি কারো কিছু হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভার কে নিবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ. কে. এম শরীফ উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া হলে আমাদের সার্বক্ষণিক ইলেক্ট্রিশিয়ান নিয়োজিত ছিল। গতকাল মেয়েরা হঠাৎ হট্টগোল করলে ইলেক্ট্রিশিয়ান পুরো ৫ তলা বিল্ডিং খোঁজাখুঁজি করে কোথাও কোনো সমস্যা বের করতে পারেনি। আতঙ্কিত হয়ে মেয়েরাই সার্কিট ব্রেকার অফ করে দিয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, এইটা অনেক পুরোনো একটি হল। এখানে যে সমস্যা হচ্ছে তার সমাধানের জন্য নতুন করে পুরো বিল্ডিং আবার ওয়ারিং করতে হবে। তবে এখন সাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের সার্বক্ষণিক একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান রাখা আছে হলে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली