close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে র পা র মা ণ বি ক স্থাপনায় তে জ স্ক্রি য় তা র মাত্রা বাড়েনি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তেজস্ক্রিয়তার কোনো বৃদ্ধি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে আইএইএ ও কুয়েত। নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণে অটল আছে তেহরান।..

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হলেও, তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কোনোভাবেই বৃদ্ধি পায়নি বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং কুয়েত। এটি ইঙ্গিত দেয়, আঘাতের পরেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর গঠনগত সুরক্ষা অটুট রয়েছে এবং সেখানে পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়েনি।জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ জানায়, তারা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়েছে যে, হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর বাইরের পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ব্যতিক্রমী বিকিরণ রেকর্ড করিনি। তবে আমরা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি এবং নতুন কোনো তথ্য পেলে, তা বিশ্লেষণ করে উপযুক্ত মূল্যায়ন প্রদান করব।”

এই মূল্যায়নের সাথে একমত পোষণ করেছে কুয়েতও। দেশটির ন্যাশনাল গার্ড ও পারমাণবিক প্রতিরক্ষা কেন্দ্র এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মার্কিন হামলার পর আমরা আঞ্চলিক আকাশসীমা ও জলসীমায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের কোনো পর্যবেক্ষণে তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধির ইঙ্গিত মেলেনি।

এতে বলা হয়, কুয়েতের ভূখণ্ডের আশপাশের পরিবেশে এখন পর্যন্ত পারমাণবিক বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। এটি ইঙ্গিত করে, হামলা সত্ত্বেও তেহরানের পারমাণবিক অবকাঠামো এখনো অক্ষত রয়েছে এবং তা কোনো গুরুতর পরিবেশগত বিপর্যয়ের জন্ম দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই হামলাকে অনেকে প্রতীকী বার্তা হিসেবেই দেখছেন। তবে এটি পারমাণবিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেনি বলে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক মহল স্বস্তি প্রকাশ করেছে। তবুও আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

পারমাণবিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “তেজস্ক্রিয়তা না বাড়া মানেই ঝুঁকি নেই — তা নয়, তবে এটিই একটি ইতিবাচক প্রাথমিক বার্তা। যদি স্থাপনার অভ্যন্তরে কোনো ক্ষতি না হয়ে থাকে, তবে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা এখনই নেই।”:
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি ইরানের ওপরই। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কৌশল, ইরানের জবাব এবং আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন মোড়ে প্রবেশ করেছে। তবে অন্তত পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার দিক থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের বিপদের আভাস মেলেনি, যা সারা বিশ্বকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।

Nema komentara