close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে র হা ম লা য় অন্ধ কারে ডুবে গেল দক্ষিণ ই স রা য়ে ল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরাসরি আঘাতে দক্ষিণ ইসরায়েল অন্ধকারে। জেরুজালেমসহ বহু শহরে বিস্ফোরণ ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।..

ইরানের পাল্টা আগুনে জ্বলছে ইসরায়েল! বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাতে দক্ষিণ অংশ অন্ধকারে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে দৌড় আইনপ্রণেতাদের

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইসরায়েলকে টার্গেট করে ইরান দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এরইমধ্যে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি কৌশলগত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান, যার ফলশ্রুতিতে এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) জর্ডানের স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ইসরায়েল ইলেকট্রিক কোম্পানি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি দক্ষিণ ইসরায়েলের বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানে। এতে পুরো অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে।

শুধু একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রেই নয়, ইরানের হামলা ছড়িয়ে পড়েছে আশদোদ ও লাচিস শহরেও। আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল এবং ওয়াইনেট নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আশদোদে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে এবং জেরুজালেম শহরের দক্ষিণে অবস্থিত লাচিস শহরেও ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জেরুজালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এমনকি ইসরায়েলের সংসদ ভবন নেসেটে জরুরি সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে আইনপ্রণেতাদের নিরাপদ বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এই হামলাগুলো ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’-এর আওতায় চালানো হয়েছে। সূত্র জানায়, গত ১০ দিনে ইরান মোট ২১টি দফায় ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেন্ট্রাল ইসরায়েলের পাশাপাশি হাইফার মতো কৌশলগত অঞ্চলও রেহাই পায়নি।

উল্লেখযোগ্য যে, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সূচনা হয় ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল ইরানের ভেতরে পরমাণু, সামরিক এবং আবাসিক স্থাপনাগুলোর ওপর সরাসরি হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ৪০০-র বেশি ইরানি নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই হামলা-পাল্টা হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। ইসরায়েল এখনও পরিপূর্ণ জবাব দেয়নি, কিন্তু প্রতিশোধমূলক প্রস্তুতি চলছে।

জর্ডানের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এখন শুধু প্রতিরক্ষা নয়, বরং সক্রিয়ভাবে আক্রমণে যাচ্ছে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নত ও লক্ষ্যভেদী হওয়ায় ইসরায়েল ক্রমাগত দুর্বল অবস্থানে চলে যাচ্ছে।

যুদ্ধের কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরান-ইসরায়েলের এই সংঘর্ষ এখন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে ডুবে থাকা দক্ষিণ ইসরায়েল যেন এই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কেবল ইঙ্গিতই দিচ্ছে না — বরং সতর্কবার্তাও দিচ্ছে গোটা বিশ্বের জন্য।

Walang nakitang komento