close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে অ্যাম্বুল্যান্সে ই স রা য়ে লে র ড্রো ন হা ম লা য় নি হ ত ৩..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের রাস্তায় রোগীবাহী অ্যাম্বুল্যান্সে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় নিহত ৩। উত্তপ্ত চলছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। চরম উত্তেজনার মধ্যে এ হামলা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল।..

ইরান-ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ঘটল ভয়ংকর এক ঘটনা। ইরানের ইসফাহান প্রদেশের নাজাফাবাদ এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্সে সোমবার (২৩ জুন) ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অন্তত তিনজন। হামলার সময় অ্যাম্বুল্যান্সটি একজন রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে আরেকটিতে নেওয়ার পথে ছিল।

ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ইসনা নিশ্চিত করেছে, এই ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়েছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর।
নাজাফাবাদ কাউন্টির গভর্নর হামিদরেজা মোহাম্মদি ফেসহারাকি বলেন, “আক্রমণের সময় অ্যাম্বুল্যান্সটিতে থাকা রোগী, চালক এবং রোগীর এক স্বজন নিহত হন। ড্রোনটি অ্যাম্বুল্যান্সটিকে সরাসরি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মুহূর্তের মধ্যেই গাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং অ্যাম্বুল্যান্সটি পাশের একটি বেসরকারি গাড়ির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। তবে চলতি মাসের শুরুতে, ১৩ জুন, ইসরায়েল ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। তেহরান তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়। তারপর থেকেই পাল্টাপাল্টি হামলার এক ভয়ংকর চক্র শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত চলছেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ড্রোন হামলার লক্ষ্য হিসেবে একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে বেছে নেওয়া খুবই উদ্বেগজনক এবং মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। যুদ্ধক্ষেত্রে ‘রেড ক্রস’ চিহ্নিত যানবাহন সাধারণত সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু এবার সেই সীমারেখাও অতিক্রম করেছে দুই দেশের রক্তক্ষয়ী সংঘাত।

এই হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই হামলাকে “যুদ্ধাপরাধের সম্ভাব্য উদাহরণ” হিসেবে অভিহিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্র বলেছেন, “যুদ্ধ হোক সামরিক স্থাপনায়, বেসামরিক নাগরিক ও চিকিৎসা ব্যবস্থাকে টার্গেট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”

এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের বিস্তার নিয়ে আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইরান সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি, তবে তেহরানভিত্তিক একাধিক সূত্র বলছে, পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বিপদ এখন আর সীমান্তে আটকে নেই। যুদ্ধ ঢুকে পড়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতরেও।
এটা শুধু একটি আঞ্চলিক সংকট নয়, বরং মানবতার বিরুদ্ধে এক অশনিসংকেত। ইরান-ইসরায়েলের এই সংঘাত বিশ্বশান্তির জন্য এক ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا