জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রাজপথ কাঁপানো সাহসী যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি আর নেই। দীর্ঘ লড়াই শেষে চিরবিদায় নিলেন এই অকুতোভয় তরুণ। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ছাত্র-জনতা এবং তার সহযোদ্ধাদের মধ্যে শোকের মাতম শুরু হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলোতে যিনি রাজপথে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই লড়াকু প্রাণটির প্রস্থানে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি কেবল একজন আন্দোলনকারী ছিলেন না, তিনি ছিলেন সহযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণার উৎস। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভাইয়ের জন্য দোয়া চেয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। হাদির এই চলে যাওয়াকে আন্দোলনের ত্যাগী কর্মীদের অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে দেখছেন বিপ্লবের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, শরিফ ওসমান হাদি বিপ্লব পরবর্তী সময়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। তার জানাজা ও শেষ বিদায়ের মুহূর্তে হাজারো মানুষের ভিড় জমে, যেখানে সহযোদ্ধারা তাকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানান। হাদির মতো নিবেদিতপ্রাণ যোদ্ধাদের আত্মত্যাগই নতুন বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।
বিপ্লবের পর একটি সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখেছিলেন হাদি। তার সহযোদ্ধারা শপথ নিয়েছেন, হাদি যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার আত্মার প্রকৃত শান্তি নিশ্চিত করা হবে। শরিফ ওসমান হাদির নাম বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় এক ত্যাগী ও সাহসী তরুণের প্রতীক হিসেবে অমর হয়ে থাকবে।



















