ঢাকার পুরানা পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলি হামলার ঘটনায় তদন্তে নতুন মোড় এনেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। ডিএমপি মনে করছে, এই আটকরা হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এস এন নজরুল ইসলাম বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার (২টা ২৪ মিনিটে) পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা হাদিকে পেছন থেকে অনুসরণ করে এসে মোটরসাইকেলে থাকা এক ব্যক্তি গুলি করে। এই হামলার ঘটনায় ডিএমপি ইতোমধ্যে ‘শুটার’ হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদ এবং মোটরসাইকেল চালক হিসেবে আলমগীর শেখকে শনাক্ত করতে পেরেছে।
অতিরিক্ত কমিশনার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ যাচাই করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত হামলাকারীরা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। হামলাকারী ফয়সালের পাসপোর্ট নম্বর পুলিশের হাতে এসেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি সম্ভবত গত জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন। এরপর তার বহির্গমনের কোনো রেকর্ড নেই।
রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং অপরাধীদের ধরতে গতকাল রাত থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ শুরু হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, তাদের আশেপাশে কোনো দুষ্কৃতকারী বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে দ্রুত পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। ডিএমপি এই ধরনের অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর বলে জানান এস এন নজরুল ইসলাম।



















