শরিফ ওসমান গনি হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদাবর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া হিমনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হিমন যুবলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত এবং হাদি হত্যার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চালক আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে তার নাম উঠে এসেছে।
অন্যদিকে, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের আর্থিক লেনদেনে বিশাল অসংগতি ধরা পড়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ফয়সাল এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ফয়সালের আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আদালতের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন, কারণ তার ধারণা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজনৈতিক অস্থিরতা বা হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে হাদিকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। দীর্ঘ ছয় দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফয়সালের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, হিমনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল ষড়যন্ত্র এবং অস্ত্র সরবরাহকারীদের সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। বর্তমানে পলাতক প্রধান আসামি ফয়সালকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাচ্ছে।



















