close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, ব্লিঙ্কেনের জীবনভর তাড়িয়ে বেড়াবে: সাবেক কূটনীতিকের মন্


ইসরাইলের নির্বিচার ধ্বংসাত্মক হামলায় গাজা রক্তাক্ত। এই ভয়াবহতায় যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাড়িয়ে বেড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক হালা রারিত।
হালা রারিত, যিনি গত বছর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি ছেড়ে দেন, বলেন, গাজার জনগণের ওপর ইসরাইলের অত্যাচারের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রের আইন উপেক্ষা করেছে।
কূটনীতিকের কড়া মন্তব্য
টেলিফোনে আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হালা রারিত বলেন, "ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছিলাম, অথচ এই প্রশাসন আইন উপেক্ষা করে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়েছে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "তারা জানত এই অস্ত্র সরবরাহ কতটা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। তারপরও তারা প্রক্রিয়াকে ফাঁকি দিয়ে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।"
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ নিষিদ্ধ। "দ্য লেহি আইন" এর মতো আইনে স্পষ্ট বলা আছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন বা ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সামরিক ইউনিটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিষিদ্ধ।
গাজা যুদ্ধে ইতোমধ্যে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে, যা কয়েক লাখ মানুষকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অথচ ব্লিঙ্কেন কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, ইসরাইল ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছে না।
বিক্ষোভের মুখে ব্লিঙ্কেন
ব্লিঙ্কেনের ইসরাইলপন্থী ভূমিকার কারণে তিনি বারবার ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে আটলান্টিক কাউন্সিলে তার বক্তৃতার সময় অধিকারকর্মীরা তাকে "গণহত্যার পররাষ্ট্রমন্ত্রী" বলে স্লোগান দেন।
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনেও তিনি সাংবাদিকদের কঠিন প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন এবং অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভের মধ্যে নিরাপত্তাকর্মীদের দুই সাংবাদিককে কক্ষ থেকে বের করে দিতে হয়।
ইতিহাসের রায়
হালা রারিত বলেন, "ব্লিঙ্কেন যা করেছেন তা তাকে সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে। ইতিহাস তার বিচার করবে এবং সেই বিচার ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।"
গাজায় ইসরাইলের হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। মানবিক সহায়তার সংকট এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বিষয়টি বিশ্বব্যাপী প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
Nema komentara