ফিরোজায় ফিরছেন খালেদা জিয়া

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরার পথে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ও অভ্যর্থনায় মুখর হয়ে ওঠে রাজধানী। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।..

দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে তিনি সরাসরি গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'র উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

তাঁর এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে ছিল উত্তেজনা, উৎসাহ আর উচ্ছ্বাস। গুলশান এলাকার ফিরোজার সামনে ভোর থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিএনপির শত শত নেতাকর্মী। প্রত্যাবর্তনের এ মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুল ও স্লোগান দিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই সফরে ছিলেন তাঁর দুই পুত্রবধূ — ডা. জুবাইদা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) এবং সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী)। তাঁরা সকলেই একসঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকা পৌঁছান।

এদিন গুলশান এলাকায় ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। ‘ফিরোজা’ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে মোতায়েন ছিল সেনা সদস্য, পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। গোটা এলাকাজুড়ে ছিল নিরাপত্তার চাদর। যান চলাচলে ছিল কড়াকড়ি, এবং ফুটপাথেও দেখা যায় পুলিশের অবস্থান।

খালেদা জিয়া গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছান। সেখানে তিনি প্রথমে ১৭ দিন ভর্তি ছিলেন একটি বিশেষায়িত ক্লিনিকে। পরবর্তীতে ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় ছিলেন। সেখানে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলতে থাকে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসার সবধরনের প্রক্রিয়া শেষে এবং শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান উত্তাপের মধ্যে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, "ম্যাডামের ফিরে আসা শুধু আমাদের দলের জন্য নয়, দেশের গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্য বড় আশার বার্তা। আমরা তাঁর আশু সুস্থতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করি।"

এদিকে দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, গুলশানে ফিরোজায় কিছুদিন বিশ্রামের পর খালেদা জিয়া দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শুরু করতে পারেন, তবে সবকিছু নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর।

সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ তৈরি করবে। সরকারের নানা সিদ্ধান্ত ও বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली