close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

এবার ই স রা য়ে লি বিমানবন্দরে পা ল্টা হা ম লা চালাল ই রা ন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরই ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পাল্টা আঘাত হেনেছে ইরান। বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিস্ফোরণসহ ১১ জন আহত, তেল আবিব-জেরুজালেমে আতঙ্ক ছড়িয়েছে হামলায়।..

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এবার সরাসরি পাল্টা হামলা চালাল ইরান। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে এবার ইরান নিজের সামরিক শক্তির জোরালো প্রদর্শন ঘটিয়ে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জবাবি হামলা চালিয়েছে।

রোববার (২২ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এই হামলার পর। তেল আবিবে বিমান হামলার সতর্ক সাইরেন দীর্ঘক্ষণ বেজে ওঠে এবং জেরুজালেমে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

এই হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে দেশটির চিকিৎসা সংস্থাগুলো। পরিস্থিতি মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ইরান থেকে নিক্ষিপ্ত দুটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে এবং সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হামলায় মূলত লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে:

  • ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহযোগী সামরিক ঘাঁটি

  • কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার

  • একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জৈবিক গবেষণা কেন্দ্র

হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা নিক্ষেপ করেছে ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (IRGC)। ইরানের পক্ষ থেকে সরাসরি ঘোষণায় জানানো হয়, তারা ইসরায়েলের আভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা ভেদ করে গভীর এলাকায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, “আমরা ইরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছি। প্রতিক্রিয়ায় আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরভাবে প্রতিরোধে কাজ করছে।”

তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এটা নিশ্চিত করা হয়নি যে, সব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে কি না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, কয়েকটি স্থানে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এই হামলা নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে পরিণত হতে পারে যদি তা এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়।

যুক্তরাষ্ট্র এখনো সরাসরি এই ইরানি পাল্টা হামলার প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং মিত্র ইসরায়েলের পাশে রয়েছে।

এই সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভয়াবহ যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি করেছে। ইরানের এই সরাসরি পাল্টা আঘাত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তারা আর শুধু হুমকির ভাষায় নয়— এখন বাস্তব যুদ্ধের ভাষায় কথা বলছে। সামনে কী ঘটে, সেটাই এখন কোটি মানুষের উদ্বেগের বিষয়।

Walang nakitang komento