close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

দুর্গম পাহাড়ের শীতার্ত মানুষের পাশে দীঘিনালা জোন 

Md Jakir Hossain avatar   
Md Jakir Hossain
পাহাড়ের সকাল মানেই ঘন কুয়াশায় মোড়ানো আঁকাবাঁকা পথ। শীতের হাওয়ায় জমে আসে মানুষের হাত-মুখ। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির দুর্গম এলাকা হারূবিল এবং বুদ্ধুরাম পাড়াসহ সব জায়গাতেই এখন একই দৃশ্য। দিনের আলো ওঠার আগেই..

পানছড়ির এই পাহাড়ি বসতিতে শীত যেন একটু বেশিই তীব্র। অনেক ঘরেই নেই মোটা কম্বল আবার অনেকেই বয়স ও দারিদ্র্যের কারণে বাজারে গিয়ে কিছু কিনে আনার মতো সক্ষমতাও রাখেন না। এমন অবস্থায় মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় সেনাবাহিনী।

বুধবার  (২৪ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা জোনের ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (দি বেবি টাইগার্স) এর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ওমর ফারূক (পিএসসি) মহোদয়ের নির্দেশনায় পানছড়ি উপজেলার  হারূবিল এবং বুদ্ধুরাম পাড়ায়  বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দেন দীঘিনালা জোনের ক্যাপ্টেন হাসনাইন আলভি। এসময় সেনাবাহিনীর অন্যান্য সেনা সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। 

দুর্গম এলাকার শীতার্ত বৃদ্ধ, অসহায় নারী ও দরিদ্র পরিবারকে অগ্রাধিকার দিয়ে শতাধিক কম্বল হাতে তুলে দেন ক্যাপ্টেন হাসনাইন আলভি। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে হাঁটতে হাঁটতে একেকটি ঘরে নরম কম্বল তুলে দেওয়ার সময় গ্রামবাসীর চোখের কৃতজ্ঞতা যেন ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

কম্বল বিতরণ শেষে ক্যাপ্টেন হাসনাইন আলভি বলেন, “দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মানুষের জীবন অনেক কষ্টের। শীত এলে সেই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। সেনাবাহিনী সবসময়  জনগণের পাশে আছে এবং মানবিক দায়িত্ব হিসেবে আমরা প্রতিটি পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে কম্বল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা শীতকাল জুড়ে চলবে।”

স্থানীয় এক বৃদ্ধা কম্বল নেওয়ার পর আবেগভরে বলেন, “রাতে ঠান্ডায় ঘুমাতে পারতাম না। আজ মনে হচ্ছে বাঁচার মতো কিছু পেলাম।”

শীতের কামড়ে জড়সড় হয়ে থাকা পাহাড়ি জনপদের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ এলাকাবাসীর কাছে এক অনন্য স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে।

لم يتم العثور على تعليقات


News Card Generator