close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে যাত্রা শুরু করে বিমানটি মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার বিবরণ
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটিতে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু সদস্য। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে এ দৃশ্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ জিয়ুল্লা প্রদেশের ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তদন্ত ও প্রতিক্রিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "আমরা ঘটনার বিস্তারিত খতিয়ে দেখছি।" এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু তৎক্ষণাৎ উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "আমাদের প্রধান লক্ষ্য জীবিত আরোহীদের দ্রুত উদ্ধার করা।" ঘটনাস্থলে জরুরি সেবা এবং উদ্ধারকারী দল কাজ করছে।
এদিকে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার এভিয়েশন সেক্টরে একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Hiçbir yorum bulunamadı