close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ডিসেম্বরেই নির্বাচন, বিএনপির কঠোর অবস্থান: দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি নিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে যাচ্ছে বিএনপি। দলটি এখন বড় রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের চেষ্টা করছে, যেখানে ডান-বামপন্থী দলগুলোর সমর্থন প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে। বিএনপ..

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অটল অবস্থান, ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটের দাবিতে নতুন এক রাজনৈতিক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বিএনপি এখনো দৃঢ়ভাবে ওই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসছে এবং তার জন্য বড় রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। দলটি বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট, বিশেষত ডান এবং বামপন্থী দলগুলোর সমর্থন নিয়ে একত্রিত হয়ে আন্দোলন শক্তিশালী করতে চাইছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, যদি বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে একমত হয়, তবে তাদের দাবি আদায় সহজ হবে।

বিএনপির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের বৈঠক গত ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হেফাজত নেতারা বিএনপির নির্বাচনী দাবি সমর্থন করেন। এর পর আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জোরালো করতে তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে, যাতে দেশের রাজনৈতিক চাপ বাড়ে।

বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, তারা ঈদের আগে এককভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন, এবং এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে, যার ফলে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে বলে তারা মনে করছেন।

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের এক অংশ জানায়, তারা নির্বাচনের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। তারা আশা করেন, সরকার তাদের দাবির বিষয়ে স্পষ্টতা প্রদান করবে। যদি না হয়, তবে পরবর্তী কর্মসূচির দিকে তারা দ্রুত এগোবেন।

ডান এবং বামপন্থী দলগুলোর সমর্থন নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের পরিকল্পনা করছে বিএনপি। বর্তমানে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর, বিএনপি জামায়াতবিরোধী ইসলামপন্থী ও বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করার লক্ষ্য হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে একসুরে কথা বলা।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে তারা আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠন এবং আসন সমঝোতার বিষয়টিও চিন্তা করা হচ্ছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট। আমরা স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি।" এর পর বিএনপির নেতারা আরও দৃঢ়ভাবে তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছেন, যেখানে তারা স্পষ্টভাবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "আমরা ১৭ বছর ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচন দাবি করছি। যদি সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হয়, তবে আমরা মাঠে আন্দোলন আরও শক্তিশালী করবো।"

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকেও নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, তাদের পক্ষে কোনো সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। বিএনপি ও তাদের মিত্র দলের নেতারা ধারণা করছেন, এসব বক্তব্য বিএনপিকে ঠেকানোর পরিকল্পনা হিসেবে সামনে আনা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের মধ্যে থাকা কিছু উপদেষ্টা জাতীয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে চান। তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে, নির্বাচনের জন্য আরও সময় চাওয়া। তবে সাইফুল হক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক, বলেছেন যে, "এই সরকারের সময় বাড়ানোর চিন্তা করলে জনগণের মধ্যে আরো অস্থিরতা বাড়বে। তাই, নির্বাচন শীঘ্রই করা উচিত।"

বিএনপির দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা জানিয়েছেন, দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে তারা কর্মসূচি জোরদার করবে। নির্বাচন বিলম্বিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা তারা নাকচ করে দেবেন। দলের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, তারা বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশও আয়োজন করতে পারেন, যাতে তাদের আন্দোলন আরও জোরালো হয়।

নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে, বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, এবং নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

Nessun commento trovato


News Card Generator