close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ঢাকায় ফিলিস্তিনের পক্ষে ইতিহাসের বৃহত্তম সমাবেশ: ‘মার্চ ফর গাজা’ এবার শাহবাগ থেকে সোহরাওয়ার্দীতে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকায় আয়োজিত 'মার্চ ফর গাজা' কর্মসূচির রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বদলে এবার গণজমায়েত হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। হাজারো মানুষের অংশ..

ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকায় আয়োজিত 'মার্চ ফর গাজা' কর্মসূচির রুট ও কার্যক্রমে আনা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে পদযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার বিকেল তিনটায় গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

এই বিশাল কর্মসূচির আয়োজক ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ’ জানিয়েছে, শাহবাগ থেকে শুরু করে রাজধানীর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট—বাংলামোটর, কাকরাইল মোড়, জিরো পয়েন্ট, বকশিবাজার ও নীলক্ষেত মোড় থেকে একযোগে মিছিল শুরু হবে। এই সব স্থান থেকে আসা অংশগ্রহণকারীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত হবেন।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামি, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। আয়োজকদের দাবি, ঢাকায় এটিই হতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় গণজমায়েত। এতে দলমত নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মাদ আবদুল মালেক। আয়োজকেরা জানান, মঞ্চ থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে তিন ভাষায় (বাংলা, ইংরেজি ও আরবি) একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। পাশাপাশি ইসরায়েলি স্বার্থবিরোধী পণ্য বর্জন এবং ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার জন্য বিশেষ শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। অনুষ্ঠানটি শেষ হবে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।

এই কর্মসূচির ফেসবুক ইভেন্ট পেজে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৭৩ হাজার মানুষ ‘ইন্টারেস্টেড’ দেখিয়েছেন, এবং ৬,৩০০ জন সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। আয়োজকেরা আশা করছেন, বাস্তবিক অংশগ্রহণ আরও বেশি হবে।

বিশেষ নির্দেশনা ও প্রস্তুতি
সংগঠকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদেশি বিনিয়োগ সম্মেলন ও ভর্তি পরীক্ষার কারণে ট্রাফিকের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করেই কর্মসূচির রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ছাড়া মেট্রো স্টেশনের ব্যবহার সীমিত রাখা এবং পরীক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য বিশেষ রুট উন্মুক্ত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত পানির বোতল, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের বিশিষ্টদের ভিডিও বার্তা
এই কর্মসূচির পক্ষে ইতোমধ্যেই একাধিক পরিচিত রাজনীতিবিদ, আলেম, ইসলামি বক্তা ও বিভিন্ন পেশার তারকাদের ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নেতারা, এবং গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর।

এছাড়াও ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, আহমাদুল্লাহ, ডা. জাহাঙ্গীর কবির, ইউটিউবার এনায়েত চৌধুরী, টেন মিনিট স্কুলের আয়মান সাদিক, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, অভিনেতা তামিম মৃধা, উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগ প্রমুখ এই উদ্যোগের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন।

চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা
এমন এক সময় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও এই গণজমায়েত গুরুত্বপূর্ণ এক বার্তা হয়ে দাঁড়াবে বলে আশা আয়োজকদের।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে ইতিমধ্যে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে থাকবে পুরো আয়োজন সফল করতে।

Aucun commentaire trouvé