close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম: সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবিতে উত্তাল পরিস্থিতি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা তাদের ৬ দফা দাবি পেশ কর
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা তাদের ৬ দফা দাবি পেশ করেছে, যা যদি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের পথ অবলম্বন করবে বলে ঘোষণা করেছে। গত সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলি তোলা হয়। শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দ্রুত তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা আন্দোলন আরও তীব্র করবে। কেন এই ক্ষোভ? ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সজিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের উপর আঘাত করা হয়েছে, এই আঘাতের দ্রুত বিচার করতে হবে। যদি ৭ কলেজের সমস্যা নিরসনে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হয়, আমরা প্রস্তুত।” এদিকে, ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, “যেভাবে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগ ও পুলিশ আমাদের উপর হামলা করেছে, ঠিক একইভাবে গতকাল রাতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। যদি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হয়, আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।” শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি: সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলি তুলে ধরেছে। এগুলি হল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে এবং ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশের হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য ঢাবি ভিসি, প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, এবং ইউজিসি সদস্যদের সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের মিটিং করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি: শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের দাবিগুলি যদি দ্রুত পূরণ না করা হয়, তাহলে তারা আন্দোলনকে আরও কঠোর করে তুলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো গুরুতর হওয়ায় তাদের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করলে আরও বড় আন্দোলনের সূচনা হতে পারে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কোনো কিছুই পিছিয়ে থাকবে না। এই পরিস্থিতি আগামী দিনগুলোতে উত্তপ্ত হতে পারে, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য এটি এক কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই দাবিগুলির প্রতি সহানুভূতির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে পারে, তবে যদি তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে সংকট আরও গভীর হবে। এখন সকলের নজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দিকেই, তারা কিভাবে এই উত্তেজনা প্রশমিত করেন তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।
No se encontraron comentarios