close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

দেশের দুই পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি: সেনাবাহিনী ও জামায়াত – ডা. শফিকুর রহমান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রংপুরের পাগলাপীরে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক পথসভায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় আয়োজিত এ
রংপুরের পাগলাপীরে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক পথসভায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় আয়োজিত এ সভায় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, "২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মধ্যে পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়, যেখানে ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের পরিবারও এই হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। পরে খুনিদের পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং হাজার হাজার বিডিআর সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সাড়ে তিনশর বেশি কর্মকর্তা ও সৈনিক কারাগারে প্রাণ হারান।" ডা. শফিক আরও অভিযোগ করেন, "এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর শক্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। এরপর জামায়াতে ইসলামীর ওপর আক্রমণ শুরু হয়। আওয়ামী লীগ দেশের পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি, সেনাবাহিনী এবং জামায়াতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। যদি জামায়াতকে ধ্বংস করা যায়, তাহলে তারা ইচ্ছেমতো দেশ চালাতে পারবে এবং সাধারণ মানুষকে দমন করবে। কিন্তু আমরা বলে দিতে চাই, মালিক কখনোই বাড়ি ছেড়ে পালায় না। ভাড়াটিয়ারাই পালিয়ে যায়।" আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "তারা এই দেশকে কার্যত ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল। অথচ বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের সম্প্রীতির দেশ। এখানে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে মায়াকান্না করে, অথচ তাদের সম্পদ দখল এবং নিপীড়ন চালিয়েছে।" পথসভায় জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মাহবুবুর রহমান বেলাল, এ টি এম আযম খান, এবং এনামুল হকসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। ডা. শফিক তার বক্তব্যের শেষে বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ ষড়যন্ত্রকারীদের চিনে ফেলেছে। জনগণের এই ঐক্য ও সচেতনতার কারণে তাদের পরিকল্পনা কখনোই সফল হবে না।" বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি একটি সংবাদ পুনর্লিখন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলি, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে এবং নিজস্ব মতামত গঠনে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
Walang nakitang komento