মাদকাসক্তি ও অপরাধের সম্পর্ক
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মাদকাসক্তদের ৩০ শতাংশ শুধুমাত্র নেশার খরচ জোগাতেই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। মাদক কেনাবেচা নিয়ে সংঘর্ষ, ছিনতাই, খুনসহ নানা অপরাধের হার ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, পারিবারিক অস্থিরতা, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের কারণেই কিশোর-তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্তির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাদকের ভয়াবহ পরিণতি
মাদকাসক্তরা নেশার টাকা জোগাড় করতে মা-বাবা, ভাই-বোনের মতো আপনজনদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নেশার জন্য টাকা না পেয়ে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপরও হামলা করছে মাদকাসক্তরা।
মাদক ও তরুণ সমাজ
মাদকাসক্তদের বড় একটি অংশ বেকার, যারা টাকার জন্য চুরি, ছিনতাই, খুনসহ নানা অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। বিশেষ করে কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে মাদকাসক্তির হার বেশি। মাদকের ফলে শুধুমাত্র মানসিক নয়, শারীরিকভাবেও ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন মাদক "আইস" সেবনের ফলে অনিদ্রা, বিষণ্নতা, স্মৃতিভ্রংশসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সমাধানের উপায়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন, পারিবারিক সচেতনতা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রচারণা। মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো এবং মাদকের অবৈধ চোরাচালান বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টাই পারে এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে দেশকে মুক্ত করতে।



















