close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃ ত্যুর হার বাড়ছে গ্রামে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শহর থেকে গ্রামে মশার বিস্তার বেড়ে রোগ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। মশক নিধনে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।..

দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বাড়ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই জন মারা গেছেন। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। একই সময় ১৫৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে প্রকাশিত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশন বাইরে) রোগী সংখ্যা ১০৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, ঢাকা বিভাগে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন রয়েছেন। একই সময় ১৬৯ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ পর্যন্ত চলতি বছরে মোট ৮ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শহরের তুলনায় গ্রামে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলে মশক নিধনের কার্যক্রম প্রায় অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বরগুনায় সম্প্রতি আইইডিসিআর-এর একটি জরিপে মশার ঘনত্ব নিরূপণ করা হয়েছে। সেখানে শহর এলাকায় এডিস এলবোপিকটাস মশার ঘনত্ব ৪৭.১০ রেকর্ড হয়েছে, যেখানে সদর উপজেলার গ্রামীণ এলাকায় ১৬৩.৪ এর উচ্চ সূচক পাওয়া গেছে। যেখানেই সূচক ২০ ছাড়ায়, সেখানে মশার বিস্তারকে ভয়াবহ বলে গণ্য করা হয়।

আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ড. মো. সফিউল আলম বলেন, আধুনিকতার ছাপ এবং প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানি মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। শহর থেকে গ্রামে যাতায়াতের ফলে ডেঙ্গু রোগী সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র মশক নিধন কার্যক্রম ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, দেশে দুই ধরনের মশা রয়েছে, যেখানে গ্রামে এডিস এলবোপিকটাস মশার বিস্তার বেশি। বর্তমানে সূচক ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় এটি ভয়াবহ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।

সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত গ্রামাঞ্চলে মশক নিধনের কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা যায় এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হয়। সাধারণ মানুষকেও বাড়ি-ঘর ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও জমে থাকা পানির উৎস ধ্বংস করার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator