close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ড. ইউনুস ভালো খেলছেন কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না: রাশেদ খান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান ফেসবুক পোস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশংসা করলেও ইঙ্গিত করলেন—ঠিক দল না থাকায় ১০ মাসেও হয়নি কোনো সংস্কার! বিস্তারিত পড়ুন.....

ড. ইউনূস ভালো খেলছেন, কিন্তু দল নেই জেতানোর — বিস্ফোরক মন্তব্য রাশেদ খানের!

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং দেশের তরুণ রাজনীতিকদের অন্যতম মুখ রাশেদ খান সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না। ভালো টিম না পেলে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হওয়া যায়, কিন্তু ম্যাচ জেতা যায় না।”

রাশেদ খানের এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, ড. ইউনূস নিজের জায়গা থেকে ভালো করছেন, তার কাজ এবং আন্তর্জাতিক সুনাম অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে তার চারপাশে যে দল বা সহযোগীরা রয়েছেন, তারা কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সে কারণেই নানা সংস্কারের কথা বলা হলেও গত ১০ মাসে তেমন কোনো বাস্তব পরিবর্তন দেখা যায়নি।

রাজনৈতিক পটভূমিতে এই মন্তব্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

রাশেদ খান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও তরুণ নেতৃত্বের উত্থানের পক্ষে সোচ্চার। তার বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, তিনি ড. ইউনূসের সদিচ্ছা এবং মেধা স্বীকার করলেও বাস্তব মাঠে কার্যকর কিছু দেখতে না পাওয়ায় হতাশ। বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন দেশে একাধিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তখন তার এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দলের শক্তি ছাড়া একার প্রচেষ্টা ব্যর্থ?

ড. ইউনূস বাংলাদেশের সবচেয়ে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী। আন্তর্জাতিক মহলে তার গ্রহণযোগ্যতা ও ভাবমূর্তি প্রশ্নাতীত। তবে রাজনীতির মাঠে সফলতা পেতে হলে কেবল ভাবমূর্তি নয়, প্রয়োজন একটি কার্যকর, সুশৃঙ্খল এবং অভিজ্ঞ টিম—যারা মাঠে লড়াই করতে জানে, জনমত তৈরি করতে জানে।

রাশেদ খানের বক্তব্যে যেন সেই দুর্বলতাকেই তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “ড. ইউনূস স্যারের এই দুর্ভাগ্য যে, তিনি নিজে ভাল খেলছেন, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না।” এর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট, নেতৃত্ব আর দক্ষ টিম একসঙ্গে না থাকলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।

সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা

রাশেদ খানের এই পোস্টটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, এটি সরাসরি ড. ইউনূসের উদ্যোগ ও তার রাজনৈতিক সম্ভাবনার ওপর এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, এর মাধ্যমে রাশেদ খান হয়তো নতুন রাজনৈতিক জোট বা জোটের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চাইছেন।

১০ মাসে কেন হয়নি সংস্কার?

ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে যারা কাজ করছেন, তারা নানা সময় সংস্কারের কথা বললেও বাস্তবতা বলছে—গত ১০ মাসে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়েনি। সমাজের নানা স্তরে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাস্তব মাঠে কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই রাশেদ খান তার হতাশা প্রকাশ করেছেন।

 

রাশেদ খানের বক্তব্য নিছক সমালোচনা নয়—এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি একদিকে যেমন ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত গুণাবলীকে সম্মান জানিয়েছেন, তেমনি বর্তমান সহযোগীদের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কঠিন চিত্রও উপস্থাপন করেছেন। প্রশ্ন উঠছে—ড. ইউনূস কি নতুন করে চিন্তা করবেন? অথবা নতুন দল গড়ার পথে হাঁটবেন?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সময়ই দেবে। তবে এতটুকু নিশ্চিত, এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।

没有找到评论