close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ভারতের রাজনীতিতে আবারও উত্তাপ ছড়িয়েছে চীনের সাম্প্রতিক এক ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। এই ইস্যুতে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র বাদানুবাদ।
চীনের ঘোষণা ও বিতর্কের সূচনা
চীন সম্প্রতি ভারতের সীমান্তবর্তী একটি এলাকাকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে। এর প্রেক্ষিতে ভারতের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবে বিরোধী দল কংগ্রেস এই ইস্যুতে বিজেপি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “বিজেপি সরকার চীনের প্রতি দুর্বল নীতি গ্রহণ করছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক।”
বিজেপির পাল্টা আক্রমণ
বিজেপি কংগ্রেসের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র অরুণ সিং বলেন, “কংগ্রেস নিজেদের শাসনামলে সীমান্তে যেসব ভুল করেছে, তার ফল ভুগছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।”
রাজনৈতিক উত্তাপ
এই ইস্যুতে সংসদেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা দাবি করেছে। বিজেপি সরকার দাবি করেছে, চীনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী এবং ভারত তার শক্তিশালী অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও পিছপা হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
সীমান্ত ইস্যু নিয়ে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীনের এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া এবং রাজনীতিকদের একত্রিত অবস্থান এই সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা
এই ইস্যুতে দেশের জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দোষারোপের পরিবর্তে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
শেষ কথা:
চীনের এই ঘোষণা ভারতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হলেও, রাজনৈতিক ঐক্য এবং কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে এর মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে বিজেপি ও কংগ্রেসের এই বাদানুবাদ পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলছে।
لم يتم العثور على تعليقات