close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ছাত্রদলের হাতে শিবিরের ৩২ জন শহীদ হয়েছে: সাদ্দাম

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নোয়াখালীর সেনবাগে ছাত্রশিবিরের আয়োজনে আয়োজিত শহীদ গোলাম জাকারিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি সাদ্দাম ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ৩২ জন শিবির কর্মী হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে তিন..

ছাত্রদলের হাতে ৩২ জন শিবির কর্মী শহীদ হয়েছেন: সাদ্দাম

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেছেন, "ছাত্রদলের হাতে আমাদের ৩২ জন শিবির কর্মী শহীদ হয়েছেন।" সোমবার (তারিখ) বিকেলে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ফকিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা, শহীদ গোলাম জাকারিয়ার ২৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে।

বক্তব্যে সাদ্দাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদল নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কার্যকর উপস্থিতি হারাচ্ছে। তাদের গ্রহণ করছে না শিক্ষাঙ্গনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা রক্তের হলি খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের অন্তঃকলহেই ৫ থেকে ৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এই দলটির হাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো আজ নিরাপদ নয়।”

তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এদেশে যে লুটপাট চালিয়েছে, তার কোনো সীমা নেই। এমন অপশাসন হয়েছে যে শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার পর্যন্ত বিদেশে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ভাবা যায়, কতটা ভয়ংকর দুর্নীতি হলে একজন ইউনিয়ন সদস্যকেও পলায়ন করতে হয়!"

সাদ্দাম ছাত্রলীগ ও সরকারি ছাত্রসংগঠনগুলোর দখলদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী ও সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। এ থেকে মুক্তি এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।”

ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও শিক্ষার মান নিয়ে দাবিও তুলেছেন সাদ্দাম

শুধু অভিযোগই নয়, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট দাবিও তোলেন তিনি। সাদ্দাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতিদ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে গণতান্ত্রিক চর্চা ও নেতৃত্ব নির্বাচনের পথ খুলে দিতে হবে।”

এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি দাউদ ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা উত্তর সেক্রেটারি মোজাহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ সাইয়েদ আহম্মদ, ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় স্কুল বিষয়ক সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন, সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের আমীর ইয়াসিন করিম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী জেলা শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি সাইফুর রসূল ফাহাদ, শহর শাখার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় শিবির নেতাকর্মীরা।

প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

ছাত্র রাজনীতিতে সহিংসতা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির—উভয় সংগঠনই অতীতে বহুবার একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ এনেছে। তবে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতার মুখে একসাথে ৩২ জন শহীদের প্রসঙ্গ এনে এই বিতর্ক আবারও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।

এছাড়াও ফ্যাসিস্ট শাসন, দুর্নীতির অভিযোগ, এবং ছাত্ররাজনীতিতে শান্তির দাবি—এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

לא נמצאו הערות