close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ছাত্রদলের হা'ম'লা'য় শিবিরের ৪ কর্মী আ'হ'ত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে স্থাপিত হেল্প ডেস্কে ছাত্রদলের হঠাৎ হামলা, আহত শিবিরের ৪ জন। অভিযোগ অস্বীকার করলো ছাত্রদল, কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায় সকালেই।..

চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের সামনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার দিন শনিবার সকালে হঠাৎ করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সহায়তা ডেস্ক ঘিরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দুই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে শিবিরের অন্তত চারজন কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে—মোজাহেরুল ইসলাম (শিবির মহানগর দক্ষিণ কলেজ শাখার সম্পাদক), কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী রাহি। তাদেরকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার শুরু ও প্রেক্ষাপট
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের সামনে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। সেখানে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিশ্রাম, পানি ও তথ্য সেবা দেওয়া হচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদলের একদল কর্মী এসে ওই হেল্প ডেস্ক চালানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়। শিবিরের কর্মীরা Desk চালু রাখলে ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন শিবির নেতারা।

সংঘর্ষ চলাকালে সড়কের দুই পাশে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালেও ততক্ষণে চারজন শিবিরকর্মী আহত হন। পুলিশের উপস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে সকালজুড়ে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।

পক্ষগুলোর অবস্থান
ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিম রনি বলেন, "আমরা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করিনি। শুধু পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করছিলাম। ছাত্রদলের এই হামলা পরিকল্পিত এবং কাপুরুষোচিত। আমরা এর ন্যায়বিচার দাবি করছি।"

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, "আগে-পিছে দাঁড়ানো নিয়ে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। পরে দুই সংগঠনের কর্মীরাই মিলে কাজ করেছে। কোনো হামলার অভিযোগ সঠিক নয়।"

পুলিশের অবস্থান
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. বিধান আবিদ বলেন, "হালকা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নেয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"

নগরজুড়ে উদ্বেগ
চট্টগ্রামের একটি প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকালে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। স্থানীয়রা বলছেন, "ছাত্ররাজনীতির নামে এমন হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড কাম্য নয়। শিক্ষাঙ্গন হোক সহিংসতা ও রাজনীতিমুক্ত।"

উপসংহার
এই ঘটনাটি ছাত্ররাজনীতির নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বারবার সংঘাতের চিত্র তুলে ধরছে। ভর্তি পরীক্ষা কিংবা সাধারণ কার্যক্রম—সবকিছুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর দখলদারি মনোভাব, ছাত্রসমাজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ব্যাহত করছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন সচেতন মহল।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator