close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ছাত্রদের মঞ্চে উঠিয়ে আমাদের সামনে বসিয়ে রাখা অপমানজনক: বিএনপি নেতা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কুষ্টিয়ায় মডেল থানার পুনরায় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সুযোগ না দিয়ে বিরোধী সংগঠনকে মঞ্চে বসানো নিয়ে চরম উত্তেজনা। আন্দোলনের সৈনিকরাই কেন আজ উপেক্ষিত?..

কুষ্টিয়া মডেল থানার পুরাতন ভবনে পুলিশ কার্যক্রম পুনরায় শুরু উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও উত্তেজনা প্রকাশ পেয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেও অনুষ্ঠানে তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে, বরং বিএনপিবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের মঞ্চে বসিয়ে তাদের সম্মানহানি করা হয়েছে।

পুলিশের সুধী সমাবেশে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য সোহারাব উদ্দিন, ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা।

উত্তপ্ত পরিস্থিতি: বিএনপি নেতাদের ক্ষোভ

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ ও নাগরিক কমিটির নেতারা বক্তব্য রাখলে তীব্র আপত্তি জানান বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, আন্দোলনে সহযোদ্ধা হয়েও তাদের মঞ্চে সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই ঘটনাকে ‘অপমানজনক’ আখ্যা দিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আল আমিন কানাই বলেন:

“আমরা আন্দোলনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছি। পুলিশকে আশ্রয়, সহযোগিতা দিয়েছি। অথচ আমাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, তারা আবার বিএনপির বিরোধিতা করে!”

যুবদল নেতা কামাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

“ছাত্রদের আমাদের সামনে মঞ্চে বসানো অপমানজনক। যারা আন্দোলনের অংশই ছিল না, তারাই আজ আমাদের মাথার ওপর উঠে কথা বলছে। এটা আমরা মানতে পারি না।”

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চের দিকে তেড়ে যান। পুলিশ এবং আয়োজকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডিআইজি রেজাউল হকের বক্তব্য

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি রেজাউল হক বলেন,

“সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়। তবে আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করি। পুলিশ কেউ অপরাধ করলে সেটা তার ব্যক্তিগত দায়, প্রতিষ্ঠানের নয়।”

তিনি আরও বলেন, খুলনা রেঞ্জে লটারির মাধ্যমে পোস্টিং এবং পদোন্নতির বিষয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

৫ আগস্টের হামলা এবং থানা পুনরায় চালু

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে থানা ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পরে শহরের আমলাপাড়ার একটি ফাঁড়িতে অস্থায়ী কার্যক্রম চলার পর সংস্কার শেষে পুরাতন ভবনেই ফের কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ডিআইজি জানান, ৫ আগস্টের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে এবং পুলিশের পাশাপাশি হেডকোয়ার্টার থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে।

একদিকে পুলিশ পুরনো ভবনে ফিরতে পেরে আনন্দিত, অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা তাদের দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ। আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Không có bình luận nào được tìm thấy