close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চার অঞ্চলে ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস: ৪ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে দুর্যোগ, সতর্ক সংকেত জারি!..

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা—ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা! নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


বজ্রঝড়ের হুঁশিয়ারি: দেশের চার অঞ্চলে দুর্যোগের আশঙ্কা, নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা জারি

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দেশের চারটি অঞ্চলে ভয়ঙ্কর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ দুর্যোগের সময় বয়ে যেতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস। এজন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পূর্বাভাসে এমনটাই জানায় আবহাওয়া বিভাগ। এ সতর্কবার্তা কার্যকর থাকবে শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।” এ কারণে সংশ্লিষ্ট সব নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির সংবাদমাধ্যমকে জানান, “উল্লেখিত অঞ্চলগুলোতে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছে যাতে নদীবন্দরগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারে।”

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা

এর আগের পূর্বাভাসে জানানো হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের আরও কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।

বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়।

এই পরিস্থিতি বিবেচনায় জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিশেষ করে খোলা জায়গায় না থাকাসহ, নৌযান ও ছোট নৌকা চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাপমাত্রার হেরফের

সপ্তাহজুড়ে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ কিছুটা স্বস্তির আশায় রয়েছেন। কারণ পূর্বাভাস অনুযায়ী, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়ার কারণে দেশের কিছু এলাকায় দিনের তাপমাত্রা কমে যাবে।

কী করবেন এই সময়?

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে—

  • বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, খালি জায়গা, গাছের নিচে অবস্থান থেকে বিরত থাকুন।

  • নৌকা বা ট্রলারে অবস্থানকারীদের যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

  • কৃষি কাজ বা বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এই ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা যায়। তাই এই কয়েকদিন সকলে যেন আবহাওয়ার আপডেট নিয়মিত অনুসরণ করেন—এমন পরামর্শও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

نظری یافت نشد