close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

"ছাপার দেরি, সংকটে শিক্ষাবর্ষ: বছরের শুরুতে সব বই হাতে পাবে না শিক্ষার্থীরা"

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার দীর্ঘদিনের রীতি এবার বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ছাপার কাজে বিলম্ব ও শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের জটিলতায় প্রথম
বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার দীর্ঘদিনের রীতি এবার বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ছাপার কাজে বিলম্ব ও শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের জটিলতায় প্রথম দিনেই সব বই পাওয়ার আশা ফিকে হয়ে গেছে। রাজধানীর মাতুয়াইলে একটি ছাপাখানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপার কাজ প্রায় শেষ হলেও চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির বই ছাপার কাজ এখনও পূর্ণ গতিতে শুরু হয়নি। ব্রাইট প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবদুল কাইয়ুম জানান, প্রতিষ্ঠানটি ১৩ লাখের বেশি বই ছাপার কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, "প্রাথমিক স্তরের ১০ কোটি বই ডিসেম্বরের মধ্যে এবং মাধ্যমিকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই ১ জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তবে বাকিগুলোর জন্য আরও সময় লাগবে।" কারণ ও চ্যালেঞ্জ: ২০২৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বিন্যাস করে বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি কাগজের সংকট, দরপত্র প্রক্রিয়ার বিলম্ব এবং ছাপার মান নিশ্চিত করতে বাড়তি পরিদর্শনের কারণেও সময়ক্ষেপণ হয়েছে। মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান জানান, "চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আংশিক বই দিয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।" তবে মান নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে মানহীনতার অভিযোগে কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের ৬০-৭০ হাজার বই বাতিল করা হয়েছে। শেষ কথা: এবারের শিক্ষাবর্ষে নতুন বই পাওয়ার উৎসব করা হবে না। যদিও এনসিটিবি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বই সরবরাহ দ্রুততর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবুও বই সরবরাহের এই অনিশ্চয়তা শিক্ষাব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
Aucun commentaire trouvé


News Card Generator