close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চাঁদাবাজির সময় এনসিপি নেতা হাতেনাতে আটক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সেনাকল্যাণ সংস্থার ট্রাক থেকে জোর করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়লেন এনসিপির এক নেতা। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পুরো চক্রের মুখোশ খুলে গেল।..

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা—চাঁদাবাজির সময় সেনাকল্যাণ সংস্থার ট্রাক থামিয়ে জোর করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করতে গিয়ে হাতে নাতে গ্রেফতার হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর এক স্থানীয় নেতা। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম তারিকুল ইসলাম (৪০), যিনি নিজেকে এনসিপির পার্বতীপুর উপজেলা শাখার মুখ্য সংগঠক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার, ২৯ মে দিবাগত রাতে পার্বতীপুর উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায়। সেনাবাহিনীর তৎপর অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়, যদিও তার সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিরা অন্ধকারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

তদন্তে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পরিত্যক্ত মালামাল (স্ক্র্যাপ) সম্প্রতি একটি টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করে সেনাকল্যাণ সংস্থা। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ওই মালামাল পরিবহনের জন্য দুটি ট্রাক কয়লাখনি থেকে রওনা হয়। রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে কয়লাখনি-মধ্যপাড়া সড়কের রসুলপুর এলাকায় ট্রাক দুটিকে জোরপূর্বক থামিয়ে দেন তারিকুল ইসলাম এবং তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি।

তারা ট্রাকচালকদের কাছ থেকে মালামাল ছাড়াতে চাঁদা দাবি করে। এতে চালকরা এবং সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনার খবর দ্রুত পার্বতীপুরে দায়িত্বরত সেনা ক্যাম্পে পৌঁছালে, সেনাসদস্যরা তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং তারিকুল ইসলামকে আটক করতে সক্ষম হন। যদিও বাকি অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

সেনাসদস্যরা পরবর্তীতে র‌্যাব-১৩-এর একটি ইউনিটের সহায়তায় তারিকুলকে পার্বতীপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করেন। রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, “চাঁদাবাজির অভিযোগে তারিকুলকে সেনাবাহিনী ও র‍্যাব আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেনাকল্যাণ সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ইতোমধ্যে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।”

চাঁদাবাজির মতো ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতা জড়িত থাকার খবর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর এই ত্বরিত অভিযানের প্রশংসা করেছেন এবং প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক অন্য ব্যক্তিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি এবং কার্যকর ভূমিকা না থাকলে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অপব্যবহার সমাজে কতটা গভীরে পৌঁছাতে পারে।

Nessun commento trovato


News Card Generator