close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঢাকা: কাজের প্রলোভনে বাংলাদেশিদের রাশিয়ার যুদ্ধে পাঠানো এক ভয়াবহ মানবপাচার চক্রের মূল হোতা তামান্না জেরিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নেপালে পালানোর চেষ্টাকালে বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, তার পাঠানো বাংলাদেশিদেরই রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামানো হচ্ছিল।
বিস্তৃত অনুসন্ধানে উঠে এল ভয়ংকর তথ্য
দৈনিক কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, নিরীহ বাংলাদেশিদের বাবুর্চি ও মালির চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাশিয়ায় পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তাদেরকে এক মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধে পাঠিয়ে দেওয়া হতো।
গত ২৮ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘রাশিয়ায় যুদ্ধে আট বাংলাদেশি!’ শিরোনামের প্রতিবেদনে প্রথমে ১০ জন ভুক্তভোগীর সন্ধান মেলে। এরপর আরো ১৮ বাংলাদেশির তথ্য পাওয়া যায়, যাদের যুদ্ধদাস বানিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ‘রাশিয়ায় মৃত্যুমুখে আরো ১৮ যুদ্ধদাস’ শিরোনামে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পরই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নড়েচড়ে বসে এবং তদন্তের ভিত্তিতে মূল হোতা তামান্না জেরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে অভিযান চলছে
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তামান্না জেরিন শুধু এই চক্রের মূল হোতা নয়, বরং তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্য রয়েছে, যারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের শনাক্তের কাজ শুরু করেছে।
বিশ্বব্যাপী মানবপাচারের ভয়াবহতা যখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে মানবপাচারের বিষয়টি আরও বেশি আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Không có bình luận nào được tìm thấy



















