চালে অস্বস্তি, অন্য পণ্যে স্বস্তি: বাজারে দাম বাড়ার কারণ জানালেন ব্যবসায়ীরা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বর্তমানে দেশে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ নিয়ে আলোচনা চলছে। পাইকারি বাজারে মিনিকেট চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পর, অন্যান্য চালের দাম অপরিবর্তিত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মূলত মিনিকেট চালের ধ..

শর্টেজের কারণে দাম বেড়েছে মিনিকেট চালের

রাজধানীর বাবুবাজার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, নিজাম উদ্দিন, কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, দেশের বাজারে মিনিকেট চালের ধান শর্ট হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। গত এক মাসে পাইকারি বাজারে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, "ভারত থেকে মোটা চাল এবং নাজির চাল আমদানি হওয়ায়, বাজারে অন্য ধরনের চালের সংকট নেই। তবে মিনিকেট চালের দাম বাড়লেও অন্যান্য চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বৈশাখ মাসে মিনিকেট চালের উৎপাদন শুরু হলে, দাম কমবে।"

কুষ্টিয়া ও নওগাঁর পরিস্থিতি

কুষ্টিয়ার প্রগতি রাইস মিলের মালিক হযরত আলী বলেন, "পাইকারি বাজারে ধানের দাম বাড়ছে, যা মিল মালিকদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। গত ১৫ দিনে, সব ধরনের ধানের দাম প্রতি মণে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেড়েছে, তাও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।" কুষ্টিয়া এবং নওগাঁর খুচরা বাজারেও চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নওগাঁতে, গত দুই দিনের মধ্যে চিকন (মিনিকেট) চালের দাম কেজিতে চার টাকা বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

এদিকে, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) গত বছর নভেম্বরে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, যদি বিদেশ থেকে যথাসময়ে চাল আমদানি না হয়, তাহলে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।

খাদ্য কর্মকর্তাদের সতর্কবার্তা

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ওয়াজিউর রহমান জানিয়েছেন, ১ মার্চ থেকে চিকন চালের দাম বেড়েছে। তবে, যদি অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হয়, তবে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি চালকল মালিকদের মজুদ নিয়ে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

রোজায় বাজার পরিস্থিতি

রোজার আগে বাজারের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির ছিল, তবে বর্তমানে বেশ কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল হয়েছে। পেঁয়াজ, আলু, টমেটো এবং অন্যান্য সবজির দাম কমে এসেছে। এ ছাড়া মুরগির দামও কিছুটা কমেছে, তবে ব্রয়লার মুরগির দাম আগের মতোই আছে।

এভাবে, চালের দাম বৃদ্ধি হলেও, অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকার কারণে ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা আরোপ করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি