বিশ্ব ইজতেমা: ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের মেলবন্ধন – চরমোনাই পীর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা: মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বিশ্ব ইজতেমা। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্ট
ঢাকা: মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বিশ্ব ইজতেমা। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। এজন্য তিনি মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানান। বিশ্ব ইজতেমার তাৎপর্য বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তিনি দেশবাসী এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত এই বিশ্ব ইজতেমা যুগ যুগ ধরে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি আরও বলেন, “ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের সুমহান আদর্শ সমগ্র মানবজাতির চলার পথের পাথেয়। আমরা ইসলামের সঠিক আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করতে পারি।” বিশ্ব ইজতেমায় মুসলিম ঐক্য বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সঙ্গে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যে সম্মিলন ঘটে, তা ইসলামকে জানার ও বোঝার পথ সুগম করে। মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ আলেমদের আলোচনা হতে এতে অংশগ্রহণকারীরা মুসলমানদের জন্য করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকেন। চরমোনাই পীর মনে করেন, বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইজতেমার গুরুত্ব তিনি আরও বলেন, ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে উম্মাহর লালিত অকৃত্রিম সরলতা, অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যায়। এ বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে তিনি আশাবাদী। বিশ্ব ইজতেমা কেবল ধর্মীয় সমাবেশ নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক পুনর্জাগরণের মাধ্যম। ইসলামের শান্তিপূর্ণ বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার পরিবেশ সৃষ্টি করাই এর মূল লক্ষ্য।
Không có bình luận nào được tìm thấy