close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিয়া তার ভাগ্নের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকা ওই নেতা নাশকতা মামলার আসামি। পুলিশ তাকে ..

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিয়া জিম্মাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে জগন্নাথপুর পৌরসভার হাসপাতাল পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিয়ের উৎসবের আনন্দ মিশ্রিত অনুষ্ঠানে আচমকাই আটক হওয়া এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জাহিদ মিয়া সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের অনুচন্দ গ্রামের মৃত হিরন মিয়া জিম্মাদারের পুত্র। গ্রেপ্তারের পর সুনামগঞ্জ জেলা আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই নেতা। দীর্ঘদিন ধরে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে থাকা জাহিদ মিয়ার উপস্থিতির গোপন তথ্য পুলিশ পেয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তিনি যখন বিয়েতে ছিলেন, তখন পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, “জাহিদ মিয়া নাশকতা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। দীর্ঘদিন থেকে পালিয়ে ছিলেন। তার ভাগ্নের বিয়ের অনুষ্ঠানে আসার খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন মিয়া বাদী হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৫২ নেতাকর্মীর নামে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জাহিদ মিয়ার গ্রেপ্তারকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন, এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা আরো বাড়বে এবং নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জে শান্তি বিরোধী কার্যক্রম রুখতে পুলিশ ও প্রশাসন আরও তৎপর হয়ে উঠেছে। এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তাদের সংকল্প স্পষ্ট যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।

গ্রেপ্তারের পর থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা ও পৌর এলাকার মানুষ উন্নত নিরাপত্তা ও শান্তির প্রত্যাশায় রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধে আরও কঠোর আইন প্রয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Ingen kommentarer fundet