বিগত ১৬ বছরে দুদু ভাই একটা গণপ্রস্রাব কর্মসূচির ডাক দিলেই পারতো !: সারজিস..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর বিতর্কিত ‘প্রস্রাব তত্ত্ব’ নিয়ে পাল্টা আক্রমণে নেমেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম। ফেসবুকে প্রকাশিত তার এক মন্তব্য ঘিরে নতুন করে উত্তাল হয়েছে রাজনৈতিক..

১৬ বছরে অন্তত একটা গণপ্রস্রাব কর্মসূচি দিলেই পারতেন দুদু ভাই!" — সারজিসের ফেসবুক তোপে তোলপাড় রাজনীতি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি কটাক্ষাত্মক পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক।

সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে মন্তব্য করেছেন,

 

এত কিছু না করে বিগত ১৬ বছরে দুদু ভাই একটা গণপ্রস্রাব কর্মসূচির ডাক দিলেই পারতো!”

এই বক্তব্য আপাতদৃষ্টিতে কৌতুক বা ব্যঙ্গ হিসেবে মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে একটি বড় রাজনৈতিক ইঙ্গিত এবং উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়া। সারজিস মূলত বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর একটি বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তার এই পোস্ট দেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ফটোকার্ডে দেখা যায়, শামসুজ্জামান দুদু বলেন—

 

যদি বিএনপি কর্মীরা একসাথে প্রস্রাব করে তাহলে সেই প্রস্রাবের তোড়ে ভেসে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়বে।”

এই মন্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো বিস্ময় ও রসিকতার ছড়াছড়ি শুরু হয়। অনেকেই মন্তব্যটিকে ‘উদ্ভট’, ‘অপেশাদার’ ও ‘রাজনীতির ভাষার চরম অবক্ষয়’ বলে আখ্যা দেন।

সারজিস আলমও বিষয়টিকে হালকাভাবে নেননি। বরং তিনি সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন, যদি সত্যিই এমন শক্তি থাকতো, তাহলে গত ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে কিছু না করে অন্তত একবার হলেও “গণপ্রস্রাব কর্মসূচির” ডাক দিয়ে দিতেন দুদু ভাই।

সারজিসের পোস্টে জ্বলছে ফেসবুক কমেন্টবক্স

এই মন্তব্যের পরপরই সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের বন্যা বইতে থাকে। কেউ বলেন “সঠিক জায়গায় সঠিক কথা”, কেউ আবার এর ভাষার তীব্র সমালোচনাও করেন। তবে অধিকাংশ নেটিজেনই দুদুর মন্তব্যকে কৌতুক হিসেবে নিয়েছেন এবং সারজিসের কটাক্ষকে “তীব্র কিন্তু প্রাসঙ্গিক” বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি পোস্টটির কমেন্ট সেকশনে শামসুজ্জামান দুদুর বিতর্কিত বক্তব্যসহ ওই ফটোকার্ডটিও শেয়ার করেন, যা প্রমাণ করে যে তার বক্তব্যটি সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এসেছে।

রাজনীতিতে ভাষার সীমানা কোথায়?

এমন বক্তব্য রাজনীতির কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনীতিকদের মুখে এমন অদ্ভুত এবং হাস্যকর মন্তব্যের ফলে সাধারণ মানুষের আস্থা কমছে বলেও মত দিয়েছেন অনেক বিশ্লেষক।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিরোধীদল হিসেবে জনগণের কাছে আন্দোলনের বার্তা দিতে গিয়ে এমন বেফাঁস মন্তব্য রাজনীতিকে হাস্যকর করে তোলে।

একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন,

 

যখন রাজনীতিকরা যুক্তি ও পরিকল্পনার জায়গা ছেড়ে দিয়ে এ ধরনের শব্দচয়ন ব্যবহার করেন, তখন তা রাজনৈতিক কর্মসূচির গাম্ভীর্য ও গুরুত্বকে ছোট করে তোলে।”

রাজনীতির ভবিষ্যত কি হাস্যরসেই আটকে যাবে?

সারজিস আলমের মন্তব্য কেবল একটি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি সামগ্রিকভাবে দেশের রাজনৈতিক ভাষা এবং সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যকে যদি নিছক রসিকতা হিসেবে ধরা হয়, তবুও তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেও এমন বক্তব্য যে রাজনীতিকে আরও বিতর্কিত করে তুলছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এখন দেখার বিষয় হলো—এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে দেশের রাজনীতিকরা কবে আবার জনগণের সমস্যার কথায় মনোযোগ দেবেন?

No se encontraron comentarios