দুর্ঘটনার পর থেকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির বর্ধিত সভায় অংশ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন বর্ষীয়ান এই নেত্রী। সভাস্থলে থাকা একটি গর্তে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। শনিবার (০১ মার্চ) সকালে হঠাৎ করে তার রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেলে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, সে সময় তার কিডনি ও হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল না।
শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা
শাহিদা রফিকের মৃত্যুতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় তারা বলেছেন, “শাহিদা রফিক ছিলেন দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তার মৃত্যুতে বিএনপি একজন আদর্শবান নেত্রীকে হারালো।”
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, দুই ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার নামাজে জানাজার সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্মরণীয় অবদান
দলের দুঃসময়ে সাহসী ভূমিকা রাখা শাহিদা রফিক বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। নারী নেত্রী হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।
শেষ বিদায়
শাহিদা রফিকের মৃত্যুতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে দল একজন অভিজ্ঞ ও নিবেদিতপ্রাণ নেত্রীকে হারালো, যার অভাব সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।