close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে বিস্ফোরক আইনের মামলার শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালতে এ কার্যক্রম শুরু হবে। বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার নেতৃত্বে এই বিচার চলবে, যেখানে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বোরহান উদ্দিন।
এর আগে, এই মামলার কার্যক্রম বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালতে চলত। কিন্তু আদালত অবকাঠামো ভাঙচুর এবং সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের কারণে আইন মন্ত্রণালয় নতুনভাবে কেরানীগঞ্জে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে।
বিদ্রোহের ভয়াবহ স্মৃতি ও মামলার পটভূমি
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। বিস্ফোরক মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়।
তবে মাঝপথে হত্যা মামলার ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম দীর্ঘ সময় স্থগিত ছিল। বর্তমানে ৪৬৮ জন আসামি হত্যা মামলায় খালাস বা সাজা শেষ করার পরও বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি পাননি।
আসামিপক্ষের অভিযোগ ও পরিবারের আশা
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, অনেক আসামি বিদ্রোহের সময় পিলখানায় না থেকেও মামলায় জড়িত হয়েছেন। এমনকি ছুটিতে বাড়িতে থাকা অনেককেও আসামির তালিকায় নাম ঢোকানো হয়েছে। দেড় দশক ধরে বন্দি অবস্থায় তারা জীবনের সবকিছু হারিয়েছেন।
এদিকে, প্রায় ৪০০ বিডিআর সদস্যের পরিবার আজকের জামিন শুনানির ওপর আশায় বুক বেঁধেছে। আদালত-সংক্রান্ত জটিলতা দূর হওয়ায় মামলার দ্রুত সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।
বিচার প্রক্রিয়ায় গতি ফিরবে?
আদালত পুনর্স্থাপিত হওয়ায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা কাটিয়ে বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন গতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, আজকের শুনানি এবং সাক্ষ্যগ্রহণ নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
নজর রাখুন: বিস্ফোরক মামলার শুনানি কীভাবে পরিবর্তন আনবে বিচার ব্যবস্থায় এবং আসামিদের জীবনে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















