close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে বিশ্বমঞ্চে বিতর্কিত বক্তব্য!
বিশ্বনন্দিত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “গত ১৫-১৬ বছর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। শেখ হাসিনা দেশে ভুয়া নির্বাচন করেছিল।”
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের (WGS) এক প্লেনারি সেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিএনএনের জনপ্রিয় উপস্থাপক বেকি অ্যান্ডারসন সেশনটি সঞ্চালনা করেন।
🛑 জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে খুশি ইউনূস
ড. ইউনূস জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের ছাত্রদের ওপর দমন-পীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা তার মতে, সত্য উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন,
“গুম, খুন, টর্চার সেল এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে ছাত্রদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে— তার সবকিছুই এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিশ্ববাসী আবারও জানতে পারলো, তারা কতটা নির্মম ছিল।”
নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তার প্রথম কাজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা। তিনি উল্লেখ করেন,
“পুরোনো বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই আমরা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য ঐকমত্য কমিশন তৈরি করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের অভিযোগ
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গে কঠোর সমালোচনা করে ড. ইউনূস বলেন,
“স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশের অর্থনীতি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা পঙ্গু হয়ে গেছে, ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি হয়েছে, এবং প্রতিবছর ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন,
“বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে কি না, সেটা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে মতামত
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস জানান, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন শেষে নিজের কাজে ফিরে যাবেন। তবে তার বক্তব্য ঘিরে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. ইউনূসের এই মন্তব্য বাংলাদেশ সরকার এবং আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
کوئی تبصرہ نہیں ملا



















