আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনার মাঝে এক অভাবনীয় শান্তির বার্তা—ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি জানান, “পাকিস্তান ও ভারত একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে।” এই ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা ও সীমান্ত সংঘর্ষের এক নতুন অধ্যায় শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান সবসময়ই নিজের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা বজায় রেখে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।”
এই বক্তব্যে স্পষ্ট—পাকিস্তান চাইছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হোক, আগ্রাসন নয়।
ভারতের প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে যুক্তরাষ্ট্র সরব
যদিও ভারত এখনো এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছেন।
ট্রাম্প শনিবার (১০ মে) নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেছেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনা হয়েছে। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি—ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”
এই ঘোষণায় একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক চাপের রূপরেখা স্পষ্ট, তেমনি বোঝা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা নতুন করে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্লেষণ: সাময়িক স্বস্তি, নাকি নতুন সূচনা?
বিশ্ব রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি হয়তো কূটনৈতিক চাপে উপসাগরের দুই পরাশক্তির একটি কৌশলগত পেছনের দিকে সরে যাওয়া—কিন্তু তাতে শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সন্দেহ নেই।
যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন কেমন হবে, সীমান্তে কীভাবে দুই দেশের বাহিনী অবস্থান নেবে, ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া কী আসবে—এই প্রশ্নগুলো এখনো উন্মুক্ত।
তবে আপাতত এই ঘোষণা দুই দেশের সাধারণ মানুষ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে।



















