ভারতের ‘কাপু*রুষোচিত’ হাম*লার দাঁতভা*ঙা জবাব দেবো: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে—দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান। হিমালয়ের দুই পারের উত্তেজনায় যুদ্ধের ঘণ্টা ব..

দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে আবারো যুদ্ধের সুর। সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। ভারতের 'কাপুরুষোচিত আগ্রাসনের' কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান—এমনটাই জানিয়েছেন তিনি বুধবার এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালী ও উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার আছে—আমরা সেটা দিচ্ছিও।” তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে শত্রু মোকাবিলায়।


ভারতের হামলা: কোথায় কী ঘটেছে?

পাকিস্তানি সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার প্রথম প্রহরে ভারত পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত ৩ জন নিহত ও আরও ১২ জন আহত হন। হামলাগুলো এমন সময় চালানো হলো, যখন সীমান্তে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা চরমে।

পাকিস্তান বলছে, এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীরের কিছু সংবেদনশীল সামরিক ও আধাসামরিক স্থাপনা।


পাল্টা আঘাত: ভারতীয় রাফায়েল ভূপাতিত!

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রে জানানো হয়, ভারতের এই আক্রমণের পর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানি বিমান বাহিনী পাল্টা অভিযান চালায়। এতে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
সামা টিভি ও জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর পূর্ব এলাকার আকাশে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি রাফায়েল জেট গুলি করে নামানো হয়েছে। অপর একটি বিমান গুজরাট সীমান্তের কাছাকাছি গুলি করে ধ্বংস করা হয়।


জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, দেশের সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে অংশ নেবেন সামরিক প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীবর্গ। বৈঠকে ভারতের আক্রমণের কূটনৈতিক, সামরিক ও আন্তর্জাতিক জবাব কেমন হবে—তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।


আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আসছে?

বিশ্লেষকরা বলছেন, হিমালয়ের দুই পরাশক্তির মধ্যে এমন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বেড়েছে। জাতিসংঘ, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মতো প্রভাবশালী দেশগুলো দুপক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাতে পারে। তবে আপাতত দু’দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড়।


 

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পুরোনো শত্রুতা নতুন রূপে ফিরে এসেছে। সীমান্তের আগুন কি এবার পুরোদমে যুদ্ধে পরিণত হবে? নাকি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দুই দেশ শান্তির পথে ফিরবে? আপাতত, উত্তেজনা কেবল বাড়ছেই।

Inga kommentarer hittades