close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতে যাওয়ার সময় আটক আ.লীগ নেতা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন হত্যা মামলার আসামি আ.লীগ নেতা যোশেফ। বেনাপোলে ইমিগ্রেশনে ধরা পড়েন তিনি। ডাটাবেজে একাধিক মামলা শনাক্ত হলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।..

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে আটক হয়েছেন। একাধিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত মো. সানোয়ারুজ্জামান যোশেফ (৫২) রবিবার সকালে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে এবং বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে।

যোশেফ নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ থাকলেও তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে আসছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।

রবিবার সকালে মেডিকেল ভিসা নিয়ে যোশেফ তার স্ত্রীসহ ভারতে যাচ্ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর পর নিয়ম অনুযায়ী তার তথ্য ডাটাবেজে যাচাই করা হয়। তখনই প্রকাশ পায় তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। ইমিগ্রেশনের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যোশেফের নামে থাকা মামলাগুলোর তথ্য দেখা মাত্রই তাকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইলিয়াছ হোসাইন মুন্সি জানান, “একাধিক মামলার আসামি যোশেফ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোলে এসেছিলেন। আমরা ডাটাবেজ যাচাইয়ের সময় তার বিরুদ্ধে মামলা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করি।”

যোশেফকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাছেল মিয়া বলেন, “আমরা যোশেফকে থানায় এনেছি এবং তার নামে থাকা মামলাগুলো নেত্রকোনা ও খালিয়াজুড়ি থানায় রেকর্ড করা রয়েছে। সেই থানাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।”

স্থানীয়রা বলছেন, যোশেফ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় চলাফেরা করতেন এবং তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করত না। এখন গ্রেপ্তার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু একজন আসামিকে আটকের ঘটনা নয়, বরং ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় থাকা অপরাধীরা কত সহজে সীমান্ত পার হয়ে পালানোর চেষ্টা করে, সেটারও প্রমাণ। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি যে অনেক বেড়েছে, সেটিও এই ঘটনায় স্পষ্ট।

আসামি যোশেফকে দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরাও। তাদের দাবি, রাজনৈতিক পরিচয় যাদের অপরাধের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

Không có bình luận nào được tìm thấy