close
  
  
         
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
					ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারত আশা করে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে হওয়া সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে। তিনি বলেন, এসব চুক্তি দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজধানীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা: চুক্তি সম্পর্কিত আলোচনা
বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিএসএফ এবং বিজিবি প্রধানদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "আমরা আশা করি যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয় সম্মানিত হবে। চুক্তিগুলোর মাধ্যমেই দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে পারে।"
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে কিছু সীমান্ত চুক্তি অসম বলে মন্তব্য করেছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে রণধীর বলেন, "আগামী বৈঠকে এই সমস্ত চুক্তি এবং সীমান্ত সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।"
সীমান্তের নিরাপত্তা এবং সহযোগিতা: ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও জানান, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সাথে অপরাধমুক্ত সীমান্ত বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, "আমরা আশেপাশের সমস্ত বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করি এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি, যাতে সীমান্তে কোনো ধরনের অস্থিরতা বা নিরাপত্তার ঘাটতি সৃষ্টি না হয়।"
এছাড়া, পাকিস্তানি সামরিক প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা সবসময় আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্মকাণ্ডের প্রতি কড়া নজর রাখি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি।"
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মাইলফলক
এটা স্পষ্ট যে, ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশই তাদের সীমান্ত সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও কার্যকরী করতে চায়। গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও, সীমান্ত ইস্যুতে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং নিরাপত্তা আলোচনা দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীলতা এবং সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে।
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ দেশটির সাথে বাংলাদেশ সম্পর্কের আরও গভীরতা যোগ করবে এবং ভবিষ্যতে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস এবং সম্মান বৃদ্ধি পাবে।
					
					
					
					
					
					
    
					
					
			
					
					
					
					
					
					
					
				
				
				
				কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি
							 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			